সারাদেশ

চোরাই আইফোন কেনা-বেচা চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

চোরাই আইফোন কেনা-বেচা চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

চুরি যাওয়া আইফোন উদ্ধার করা যায় ফোনটির ‘ফাইন্ড মাই লোকেশন’ ফিচারের মাধ্যমে। তবে ফোনটি রুপালি রঙের ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে রাখলে কাজ করে না এই ফিচার। চুরির পরে এই কৌশলে রাখা ৪৬টি আইফোনসহ রাজধানীর একটি চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।

 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, চোরাই আইফোন কেনা-বেচা চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

 

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪৬টি আইফোনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রটি শুধু আইফোন চুরি করে। ঢাকা শহরকে ১৫ থেকে ২০ ভাগে ভাগ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। চুরি করা আইফোন সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করতে না পারলে, ফোনের ভেতরের যন্ত্রাংশ খুলে আলাদাভাবে বিক্রি করে তারা।

 

চক্রটি আইফোন চুরির ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, প্রথম ধাপে বিভিন্ন স্থানে মোবাইল চোরেরা আইফোনগুলো চুরি করে। এরপর চোরেরা আইফোনগুলো বিভিন্ন চোরাই আইফোন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে।

 

প্রথম ধাপের ক্রেতারা আবার বড় পার্টির কাছে বিক্রি করে। এই ক্রেতারা আইফোনগুলো সিলভার কালারের ফয়েল পেপারে মোড়ায় ও ল্যাপটপে ফ্লাশ করে সব ডেটা মুছে ফেলে। এরপর তারা মার্কেটে বিভিন্ন পার্টির কাছে বিক্রি করে।

 

এ ছাড়া আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করতে না পারলে চোর চক্র মোবাইল সার্ভিসিংয়ের বিভিন্ন দোকানে মোবাইলের যন্ত্রাংশ যেমন মাদারবোর্ড, ক্যামেরা, স্পিকার, চার্জার লজিক, ডিসপ্লে ও অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রি করে। আইফোনের বিভিন্ন অংশের খুচরা বাজারে চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় তারা সহজেই চড়া দামে এসব বিক্রি করে থাকে।

 

গ্রেপ্তার চোর চক্রের সদস্যরা হলেন মূলহোতা মনির হোসেন, মো. রাসেল, মো. তানভীর আহম্মেদ, মো. সুরুজ হোসেন, মো. জহির হোসেন, রকি ও রাজন আহমেদ। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content