নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য চতুর্থবারের মতো ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আবারও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য তার নাম প্রস্তাব করা হলো। এবার ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছেন রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতা ক্লডিয়া টেনি।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে নেওয়া ঐতিহাসিক আব্রাহাম অ্যাকর্ডের জন্য তিনি ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। বিষয়টি ক্লডিয়া টেনির ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে। ২০২০ সালে করা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ অর্থাৎ ইসরাইলের সঙ্গে আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশের সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প।

কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের রিপাবলিকান প্রতিনিধি ক্লডিয়া টেনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে আমলা, পররাষ্ট্রনীতি পেশাদার, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জোর দিয়ে বলে এসেছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটিকে ভুল প্রমাণ করেছেন। ১৯৭৮ সালে মিসর-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি এবং ১৯৯৪ সালের অসলো চুক্তি উভয়ই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত আব্রাহাম চুক্তিতে ট্রাম্পের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী প্রচেষ্টা ছিল ‘নজিরবিহীন’ যা নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি বারবার অস্বীকার করে চলেছে।

টেনির মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব যখন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন অবশ্যই ট্রাম্পকে তার শক্তিশালী নেতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি অর্জনে প্রচেষ্টার জন্য স্বীকৃতি দিতে হবে। এটি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।

এর আগে ২০২১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ফিনল্যান্ডের ডানপন্থি সংসদ সদস্য লরা হুহতাসারি। সার্বিয়া-কসভোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক চুক্তি স্বাক্ষরে ভূমিকা রাখায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট শান্তি পুরস্কারের দাবিদার বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

২০২০ সালে আব্রাহাম অ্যাকর্ডে ভূমিকা রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিলেন নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-গেড্ডে।

এর আগে নরওয়ের এই রাজনীতিক ২০১৯ সালেও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন। সেইবার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রচেষ্টার জন্য ট্রাম্পকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।