আন্তর্জাতিক

নারীদের অন্তঃসত্ত্বা করার চাকরি, বেতন ১৩ লাখ রুপি, গ্রেপ্তার ৮

নারীদের অন্তঃসত্ত্বা করার চাকরি, বেতন ১৩ লাখ রুপি, গ্রেপ্তার ৮

প্রতারণার অনেক চতুর কৌশলের কথা হয়তো শুনেছেন। কিন্তু ভারতের বিহার রাজ্যের এই প্রতারক চক্রটি অভিনব। বন্ধ্যা নারীদের গর্ভবতী করতে পারলেই ১৩ লাখ রুপি রোজগারের সুযোগ! আবার না পারলেও ক্ষতি নেই; রয়েছে পাঁচ লাখ রুপির সান্ত্বনা পুরস্কার!

 

অফারটি নিঃসন্দেহে লোভনীয়! তবে এই চাকরি পেতে হলে আগে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য লাগবে টাকা। প্রতারকদের ধান্দাই এটি। রেজিস্ট্রেশনের টাকা চলে যায় তাদের পকেটে। এ ঘটনায় বিহারের নওয়াদা শহর থেকে এই চক্রের আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নওয়াদা জেলায় ‘অল ইন্ডিয়া প্রেগন্যান্ট জব’ নামে একটি সংস্থা পরিচালনা করত চক্রটি। গর্ভধারণে অক্ষম নারীদের গর্ভে সন্তান এনে দিতে পারলে পুরুষদের ১৩ লাখ রুপির অফার দিত এজেন্সিটি।

 

বিহারের পুলিশ জানিয়েছে, সারা দেশে অনলাইনে চলছিল এই কারবার। নারীদের গর্ভবতী করার নামে প্রতারণা করা হচ্ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করেছে এবং এর মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

 

ওই চক্রের কথা ফাঁস করেছে নওয়াদার সাইবার থানা। তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নারীদের ছবি ও তথ্য অনলাইন থেকে সংগ্রহ করত। সেসব নারীকে গর্ভবতী করার জন্য অফার দেওয়া হতো পুরুষদের। গর্ভবতী হলে ১৩ লাখ রুপি এবং না পারলে সান্ত্বনা পুরস্কার ৫ লাখ রুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো।

 

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় বিহার পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। সেখান থেকেই অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ চক্রের সঙ্গে মোট ২৫-৩০ জন ছিনতাইকারী জড়িত ছিল। ওই অভিযানে ৯টি মোবাইল ফোন, প্রিন্টার ও স্টোরেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

ডিএসপি কল্যাণ আনন্দ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অল ইন্ডিয়া প্রেগন্যান্ট জব নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে প্রতারণা চক্রটি চালাচ্ছিল। তারা নারীদের গর্ভবতী করার নামে পুরুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিত। তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা রেজিস্ট্রেশনের নামে অনলাইনে ৭৯৯ রুপি নিত।

 

এরপর সিকিউরিটি ফির নামে ৫ থেকে ২০ হাজার রুপি নেওয়া হতো। তবে এরা কতজনের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছে তা এখনো জানায়নি পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফোন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনেকের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।