আন্তর্জাতিক

উত্তর কোরিয়ায় নারীরা সন্তান নিচ্ছেন না, কাঁদলেন কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ায় নারীরা সন্তান নিচ্ছেন না, কাঁদলেন কিম জং উন

অত্যন্ত প্রতাপশালী প্রশাসক তিনি। তাঁর শাসনে কার্যতই বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের মূর্তির ছায়া মাড়ানোও যেখানে অপরাধ হিসাবে গণ্য় করা হয়, সেখানেই খোদ কিম জং উন কি না কেঁদে ভাসাচ্ছেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার ধরে আসছে গলা, রুমাল দিয়ে চোখ মুছছেন। এমনই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী রইল বিশ্ব। কী এমন হলো যে কেঁদে ফেললেন কিম জং উন?

 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরীয় মায়েদের নিয়ে বিশাল একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার নারী। উত্তর কোরিয়ায় গত ১১ বছরে এটিই ছিল এ ধরনের প্রথম সম্মেলন।

 

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন সে দেশের প্রশাসক কিং জং উন। উত্তর কোরিয়ার মহিলাদের কাছে তিনি অনুরোধ জানান, তাঁরা যেন আরও সন্তান ধারণ করেন এবং তাদের এমনভাবে বড় করে তোলেন যে দেশপ্রেমী হন তাঁরা।

 

উত্তর কোরিয়ায় ক্রমশ যেভাবে জন্মহার কমছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন কিম। সেই কথা বলতে বলতেই দেখা যায়, চোখ মুছছেন তিনি। তাঁকে কাঁদতে দেখে দর্শকাসনে বসে থাকা অনেককেই চোখ মুছতে দেখা যায়। যদিও অনেকেরই দাবি, গোটা অনুষ্ঠানটিই সাজানো। কিমের কান্নাও নকল।

 

সম্প্রতিই রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্য়া ফান্ডের তরফে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ায় জন্মহার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৮ শতাংশে। যথেষ্ট উদ্বেগজনক এই পরিসংখ্য়ান। তবে শুধু উত্তর কোরিয়াই নয়, দক্ষিণ কোরিয়াতেও জন্মহার ব্যাপক কমেছে। গত বছর ০.৭৮ শতাংশে নেমে গিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার। ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তিত জাপানও। সেখানে জন্মহার ১.২৬ শতাংশে কমে দাড়িয়েছে।

 

জনসংখ্যা বাড়াতে উত্তর কোরিয়া সরকারের তরফে সম্প্রতিই নানা প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। তিন বা তার বেশি সন্তান থাকলে, বাড়িভাড়া মকুব, বিনামূল্যে খাবার ও ওষুধ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content