আন্তর্জাতিক

এক হলো যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশ ইসরায়েলের সমর্থনে

এক হলো যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশ ইসরায়েলের সমর্থনে

হামাস-ইসরায়েল হামলা পাল্টা হামলা ইস্যুতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি। দেশগুলো বিবৃতিতে ইসরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যকার ফোনালাপের পর এই যৌথ বিবৃতি আসে।

 

বিবৃতিতে দেশগুলো বলছে, ‘হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই, কোনো বৈধতা নেই এবং সর্বজনীনভাবে নিন্দা করা উচিত। এতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে নিজেকে এবং নিজের নাগরিকদের রক্ষার প্রচেষ্টায় আমরা ইসরায়েলকে সমর্থন দেব।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সবাই ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দিই এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার সমান পদক্ষেপকে সমর্থন জানাই। এতে বলা হয়, ‘কিন্তু কোনো ভুল নয়: হামাস সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে না। এই গোষ্ঠী ফিলিস্তিনি জনগণকে আরও সন্ত্রাস ও রক্তপাত ছাড়া আর কিছুই দেয় না।

 

গেল শনিবার সকালে হঠাৎই ইসরায়েলে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। দুই পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় দেড় হাজারের বেশি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা কয়েক হাজার।

 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ ইসরায়েল থেকে ভাষণ দিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, দেশটি হামাসের বিরুদ্ধে ‘প্রচণ্ড শক্তি’ ব্যবহার করবে।

 

এর আগে সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি খাবার, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধেরও নির্দেশ দেন।