আন্তর্জাতিক

‘ঘৃণ্য’ আখ্যা দিলো পবিত্র গ্রন্থের ওপর হামলাকে: যুক্তরাষ্ট্র

‘ঘৃণ্য’ আখ্যা দিলো পবিত্র গ্রন্থের ওপর হামলাকে: যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে তুর্কি কনস্যুলেটের বাইরে পবিত্র কোরআনের অবমাননার বিষয়টিকে ঘৃণ্য বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সেখানে কোরআন অবমাননার পুনরাবৃত্তির ঘটনায় এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। খবর আনাদোলু।

 

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান হিসেবে বাক স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। বাক-স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন দেওয়া মার্কিন সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত। তারপরও ‘ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননাকে ঘৃণ্য’ কর্মকাণ্ড বলেই আমরা মনে করি।

 

যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের ঘৃণামূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে এবং এ ধরনের বিষয়গুলো যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে সে ব্যাপারে জোর দিচ্ছে।

 

যুক্তরাষ্ট্র আগেও এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, পবিত্র কুরআনের অবমাননা করার কাজে আমরা আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।

 

এ ধরনের ঘটনার যেখানেই হোক না কেন আমরা স্পষ্টভাবে মুসলিমবিরোধী ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাই। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

 

এছাড়াও বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর জন্য আরও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক‘ পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে এবং এ ধরনের বিষয়ে ‘শান্তিপূর্ণ ও খোলামেলা সংলাপের’ আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

গত শুক্রবার নিউইয়র্কে তুরস্কের কনস্যুলেটের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি পবিত্র কেরআন শরীফ অবমাননা করে। সে পবিত্র কোরআনের একটি ইংরেজি অনুলিপি মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে এবং তারপর সেটি পদদলিত করে। পরে কনস্যুলেটের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দ্রুত ওই লোকটিকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিছুকিছু ইউরোপীয় দেশ, বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলগুলোতে ঘন ঘন মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের পবিত্রতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। উত্তর ইউরোপের দুটি দেশ-সুইডেন ও ডেনমার্কে বহুবার কোরআন পোড়ানো ও অবমাননার ঘৃণ্য ঘটনা দেখা গেছে। দেশগুলোর আইনে থাকা ব্যক্তি স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই এসব কাজ করা হচ্ছে। এতে পুরো বিশ্বে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হতে দেখা গেছে।

আরও খবর

Sponsered content