সারাদেশ

রাজশাহীতে থানার সামনে প্রকাশ্যে পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত

রাজশাহীতে থানার সামনে প্রকাশ্যে পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত

রাজশাহীর দুর্গাপুরে থানার সামনেই এক পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে এক যুবক। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ছুরিকাহত পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ আহম্মেদ (৩৮) দুর্গাপুর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার হোজা গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। ফিরোজকে ছুরিকাঘাতে জড়িত যুবক সেলিম রেজাকে (২৫) আটক করা হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ আহম্মেদ পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় মোটরসাইকেলে থানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসছিলেন। এ সময় সেলিম রেজা দৌড়ে গিয়ে তাঁর বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করেন।

 

তখন ফিরোজ মোটরসাইকেল দ্রুত টেনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুদূরে যেতেই তিনি পড়ে যান। পরে পথচারী ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

 

দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তামান্না খানম জানান, পুলিশ সদস্যের বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে অনেকটা জখম হয়েছে। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাঁর অবস্থার অবনতি দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

পরে জনগণ ধাওয়া করে ছুরি হাতে থাকা অবস্থায় আটক করার পর অভিযুক্ত যুবক সেলিম রেজাকে থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি আপেল খাওয়ার জন্য ছুরিটি কিনেছিলেন। ওই পুলিশ সদস্যকে ইচ্ছা করে ছুরিকাঘাত করেননি। কীভাবে যেন লেগে গেছে।

 

হামলায় আহত ফিরোজ আহম্মেদ সহকর্মীদের বলেন, ‘ওই যুবককে আমি চিনি না। কোনো দিন দেখিওনি। থানা থেকে বের হতেই যুবক দৌড়ে এসে ছুরিকাঘাত করে।

 

দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আবদুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে ওই পুলিশ সদস্যকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করা হলো, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

আরও খবর

Sponsered content