ভারতের দিল্লিতে শিক্ষকের গলা কেটে কিশোর ছাত্র গ্রেপ্তার

ভারতের দিল্লিতে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ায় এক সমকামী গৃহশিক্ষককে (২৮) গলা কেটে খুন করেছে তারই কিশোর ছাত্র (১৪)। অভিযোগ উঠেছে, ওই গৃহশিক্ষক তার ছাত্রকে গালিগালাজ করতেন এবং যৌন নিপীড়নের ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন।

আজ রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই কিশোর প্রতিশোধ নিতে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে। গৃহশিক্ষককে হত্যার তিন দিন পর গত শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির ডিসিপি রাজেশ দেও বলেন, গত বুধবার দুপুরে একটি ফোন আসে। আমরা জানতে পারি রাজধানীর জামিয়ানগরের বাটলা হাউসের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে রক্ত বের হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই ব্যক্তিকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই কিশোর নিহত গৃহশিক্ষকের ছাত্র। ঘটনার দিন দুপুরে গৃহশিক্ষকের ডাকে তার অ্যাপার্টমেন্টে এসেছিল সে।

এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই গৃহশিক্ষক জাকির নগরে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। যে বাড়িতে তিনি নিহত হয়েছেন তার মালিক ওই ব্যক্তির পরিবার। তবে যে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ছিল ফাঁকা। কিছুদিন আগে ফ্ল্যাটটি খালি হয় এবং তিনি সেখানেই ছাত্রকে ডেকেছিলেন।

পুলিশ এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে এবং এ নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, নিহত গৃহশিক্ষক সমকামী ছিলেন। দুই মাস আগে ছেলেটিকে পড়ানো শুরু করেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে বেশ কয়েকবার তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি ছেলেটির সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করেছিলেন এবং এটি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করতেন। বিষয়টি সইতে পারেনি কিশোর।

ঘটনার দিন গৃহশিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে ওই অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার আগে একটি কাগজ কাটার ছুরি নিয়ে যায় ছেলেটি। পরে পালিয়ে যাওয়ার আগে গৃহশিক্ষকের গলা কেটে দেয় সে।