সারাদেশ

ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে ছাত্রজোট কর্মীদের মারধর ছাত্রলীগের

ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে ছাত্রজোট কর্মীদের মারধর ছাত্রলীগের

টিএসসিতে মেট্রোরেলের স্টেশন স্থাপন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যানার লাগিয়েছিল ছাত্রলীগ। সেই ব্যানারে ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করায় বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রজোটের অন্তত ২০ জনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলা-পরবর্তী সময়েও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে লাঠি-রড-স্টিলের পাইপসহ রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিতে দেখা যায়। পরে শাহবাগে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, বর্তমান সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরাসহ চার নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ব্যানারে মশাল মিছিল করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। এ সময় রাজু ভাস্কর্যের সামনে লাগানো ‘মেট্রো অ্যাট টিএসসি: থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে তারা।

 

খবর পেয়ে বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রজোটের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করেন। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেঘমল্লার বোসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাগীব নাঈম বলেন, ‘রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের বিশাল ব্যানার ছিল। এটি স্থাপনের পর আমরা তাদের বলেছিলাম, এটা ভাস্কর্যের নীতির পরিপন্থি। তারা তখন বলেছিল, সাত দিন পর সরিয়ে নেবে। কিন্তু না সরানোয় আমাদের কয়েকজন এটা সরাতে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করেন।

 

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার আহ্বায়ক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব যদি বলি, এটা ছাত্র ইউনিয়নের ভাস্কর্য। কিন্তু বলার পরেও তারা ব্যানার সরায়নি। আমাদের মিছিল শেষে উত্তেজিত ছেলেরা ব্যানারটা ছিঁড়েছে।

 

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘মেট্রোরেলকে স্বাগত জানিয়ে আমরা ব্যানার লাগিয়েছিলাম। সেখানে বাম সংগঠনগুলো ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কলঙ্কিত অধ্যায়। আমরা চাই, প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তারা দুঃখ প্রকাশ করুক। না হলে শিক্ষার্থীদের কন্ট্রোল করা সম্ভব হবে না। তবে তাদের মারধর করা হয়নি।

 

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে লাঠি-রড হাতে দেখা গেছে– এমন প্রশ্নে সৈকত বলেন, ‘দেখা তো যাবেই। শেখ হাসিনা আমাদের নেতা। শেখ হাসিনার ছবিকে লাঞ্ছিত করবে, আমরা কি ছেড়ে দেব? নেত্রীর আদর্শে বিশ্বাসী কেউ ছেড়ে দেবে? শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠলে শুধু ছাত্র ইউনিয়ন নয়, কোনো সংগঠনই কোথাও দাঁড়াতে পারবে না।

 

এ বিষয়ে জানতে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

আরও খবর

Sponsered content