রাজনীতি

যেসব কারণে মনোনয়ন প্রাপ্তিতে এগিয়ে সাকিব, আরাফাত ও হ্যাপি

যেসব কারণে মনোনয়ন প্রাপ্তিতে এগিয়ে সাকিব, আরাফাত ও হ্যাপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ, উচ্চশিক্ষিত ও করোনাকালীন ভূমিকা। এ কারণে বাদ পড়ছেন বর্তমান অনেক এমপি। একই পরিবারের দুই বা ততোধিক সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মূলেও রয়েছে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কা। এমন আসনের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৫টি। ফলে এসব আসনে এগিয়ে থাকছেন তরুণ ও জনপ্রিয় ব্যক্তিরা।

 

রাজনৈতিক ক্যারিয়ার না থাকলেও উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরির পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

 

এবার তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জনপ্রিয়তার কারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও (মোহাম্মদ এ আরাফাত)। কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে দলের মনোনয়নে এমপি হন তরুণ নেতা। এর আগে গত ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন আরাফাত। এবারও দলীয় মনোনয়নে তিনি এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য।

 

ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে রয়েছেন। উচ্চশিক্ষিত হ্যাপি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’— এই বার্তা নিয়ে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের জন্য চালু করেছিলেন ‘মানবতার ডাকঘর’।

 

সেই ডাকঘরের সন্ধান পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোবাইল ফোন নম্বর। ফোন করে অসহায় কোনো মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানালেই তার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য অনুষঙ্গ। এমনকি কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি রাতের বেলাও অনেকটা গোপনে মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল।

 

এমবিএ পাশ কাজী ফরিদুল হক হ্যাপী দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ফরেন এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ফ্যাড-ক্যাব) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ১৮ বছর ধরে তিনি এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদ সদস্য।

 

ক্লিন ইমেজের এই নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সরকারি বাংলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, মিরপুর থানা আওয়ামী যুবলীগের প্রথম যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেছেন।

 

বর্তমানে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকা দৈনিক চিত্রের প্রধান সম্পাদক, সাপ্তাহিক আনন্দচিত্রের সম্পাদক, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য। পচাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন সৎ, পরিশ্রমী ও কর্মবান্ধব জনপ্রিয় নেতা কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাজনীতির ঠিকানা হিসেবে খুঁজে নিয়েছেন ঢাকা-১৪ আসনের জনগণকে। প্রয়াত এমপি আসলামুল হকের সব রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করার মূলে ছিলেন হ্যাপি।

 

আরও খবর

Sponsered content