অর্থনীতি

পেঁয়াজ আমদানি মূল্য বাড়াল ভারত, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

পেঁয়াজ আমদানি মূল্য বাড়াল ভারত, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে ন্যাপেড ভ্যালু অর্থাৎ আমদানি মূল্য নির্ধারণ করল ভারত। এখন থেকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানিতে গুনতে হবে ৮০০ মার্কিন ডলার। এতে করে অতিরিক্ত ৬০০ ডলার বেশি গুণতে হবে আমদানিকারকদের। নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী এলসি (ঋণপত্র) খোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।

 

দেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দর দিয়ে প্রতি বছর দেড় লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে ভারত থেকে। দেশের বাজারে যখনই পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ে তখন স্বাভাবিকভাবে আমদানি বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ভারতের ব্যবসায়ীরা। কখনও দাম বৃদ্ধি আবার কখনও পেঁয়াজ রফতানি শুল্ক নির্ধারণসহ নানারকম সমস্যার মুখে পড়তেই হয় আমদারিকারকদের।

 

এসব কিছুর মধ্যে আবারও ভারত সরকার পেঁয়াজের ন্যাপেড মূল্য নির্ধারণ করেছে। এখন থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য দিতে হবে ৮০০ মার্কিন ডলার। এর আগে আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হতো ২০০ থেকে ৩০০ ডলারের মধ্যে। এখন অতিরিক্ত ৬০০ মার্কিন ডলার গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের।

 

হিলিস্থল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশিদ লেবু বলেন, হিলিস্থল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। আজকের আমদানিকৃত পেঁয়াজগুলো পূর্বের টেন্ডারের। এখন থেকে নতুন এলসি বা ঋণপত্র ৮০০ মার্কিন ডলারের নিচে গ্রহণ করবে না ভারত। আর যেগুলো আগে খোলা আছে সেগুলোকেও নতুন করে ৮০০ মার্কিন ডলারে করতে হবে।

 

হিলি স্থলবন্দরের তথ্যমত দুর্গাপূজার ছুটির পর গত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ভারতীয় ২০ ট্রাকে ৬০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) আমদানি হয়েছে ভারতীয় ২৮ ট্রাকে ৮৪০ মেট্রিক টন। রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত ১২ ট্রাকে ৩৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content