বাংলাদেশ

কিছু সাংবাদিক ও দুদক কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন শামসুজ্জামান বললেন হারুন

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান তার সার্টিফিকেট জালিয়াতির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে কিছু সাংবাদিক ও দুদকের কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।

 

শনিবার (১১ মে) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবি প্রধান। ডিবি পুলিশ চার দিনের রিমান্ডে এনে এ তথ্য বের করেছেন।

 

হারুন অর রশীদ জানান, ইতোমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন শামসুজ্জামান। এই জালিয়াতির সাথে যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

তবে, জালিয়াতির সাথে জড়িত সাংবাদিক এবং দুদকের কর্মরত যাদের নাম উঠে এসেছে, তারা চাইলে গোয়েন্দা বিভাগ কিংবা সরাসরি শামসুজ্জামানের মুখোমুখি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

 

সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতির দায়ে ৩১ মার্চ রাতে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে।

গ্রেফতারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে রাতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনলিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে সদন প্রিন্ট ও বিক্রির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে। এমতাবস্থায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।