10 October 2023 , 10:53:48 প্রিন্ট সংস্করণ
পশ্চিম তীরে অক্সফাম সহায়তা কর্মী হিসেবে কর্মরত গাজার বাসিন্দা বুশা খালিদি। তার পরিবার রয়েছে গাজায়। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, তার পরিবার একত্রে ঘুমায় যাতে তারা একত্রে মারা যেতে পারে।
বুশা আরও জানান, এত ভয়াবহ ও মারাত্নক ইসরায়েলি বোমা হামলা আর কখনোই দেখেনি গাজার বাসিন্দারা।
বুশা খালিদি বিবিসিকে বলেন, “গাজায় তার পরিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কঠোর অবরোধের মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করছে। তারা সেখান থেকে কোথাও যেতেও পারছে না, পর্যাপ্ত শিক্ষাও পাচ্ছে না।“
বিবিসিকে বুশা বলেন, “সেখানে (গাজাতে) পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, জ্বালানি নেই এবং অন্যান্য সরবরাহ দ্রুত কমে যাচ্ছে।”
খালিদি জানিয়েছেন যে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিক্ষিপ্ত, গাজায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতিকে “ভয়াবহ” হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “গাজার সমস্ত জনসংখ্যাকে একসাথে শাস্তি দেওয়ার ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত নিষ্ঠুর। আমাদের বেসামরিক মানুষের উপর মানবিক প্রভাব সম্পর্কে তাদেরকে ভাবতে হবে।“
বুশা বলেন, “আমার ভাগ্নেরা আতঙ্কিত এবং সব সময় আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে। তারা যা জানে তা হল অবরোধ এবং যুদ্ধ। তারা তাদের মাকে ছাড়া কোথাও যাবে না, এমনকি তাদের নিজের বাড়িতেও না।“
তিনি বলেন, “আমার পরিবার আমাকে বলেছে যে তারা একসাথে ঘুমায়, যদি তারা হামলায় মারা যায় তবে তারা যেন একসাথে মারা যেতে পারে।”
চতুর্থ দিনেও সংঘর্ষ কমেনি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ক্রমাগত বাড়ছে নিহতের পরিমাণ।
ইসরায়েলের অবিরত বিমান হামলায় গাজা উপত্যকা জুড়ে ১ লাখ ৮৭ হাজারেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সংখ্যা বাড়বে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
অবরোধের কারণে খুব দ্রুত খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী ফুরিয়ে আসছে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলটিতে। এর মধ্যে কোন সহায়তা না পৌঁছালে মারাত্নক মানবিক সংকটে পড়বে গাজাবাসী।