সারাদেশ

তাঁতীলীগ সভাপতির দায়িত্বে সাংবাদিক নাদিম হত্যার আসামি

তাঁতীলীগ সভাপতির দায়িত্বে সাংবাদিক নাদিম হত্যার আসামি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে আবারও সভাপতি করে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতীলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জামালপুর জেলা তাঁতীলীগ।

 

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু এবং সদস্যসচিব আরমান হোসেন সাগর যৌথ স্বাক্ষরে আগামী ৩ বছরের জন্য সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি করে দলীয় প্যাডে ৭১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন করেন।

 

অভিযুক্ত সহিদুর রহমান লিপন বকশীগঞ্জ উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে।

 

জামালপুর জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি জাকির হোসেন রুকু বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় সহিদুর রহমান লিপনকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছিলাম। নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকতেই পারে। এখন তিনি জামিনে আছেন। সে কারণেই তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

উপজেলার সাধুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন হামলার শিকার হন বাংলানিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম।

 

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

 

এ ঘটনায় ১৮ জুন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুলকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার এজাহারে ১১ নম্বর আসামি করা হয় উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি সহিদুর রহমান লিপনকে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডে সহিদুর রহমান লিপনের সংশ্লিষ্টতা জোরালোভাবে উল্লেখিত হওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তি প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ণের অভিযোগে এবং দলীয় শৃঙ্খলাভঙের দায়ে মামলা দায়ের আগের দিন ১৭ জুন বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি পদে থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করে জামালপুর জেলা তাঁতীলীগ।