সারাদেশ

স্বামীর সর্বস্ব লুটে পালাল স্ত্রী

স্বামীর সর্বস্ব লুটে পালাল স্ত্রী

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় স্বামীর স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা ও বাসার আসবাবপত্র লুট করে পালিয়ে গেছে স্ত্রী। লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে আইনের আশ্রয় নেওয়ায় স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর হুমকি ও দেওয়া হচ্ছে। এরপরও পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন স্বামী নুর হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর গ্রামের জামতলা এলাকায়। এ ঘটনায় যৌতুক নিরোধ আইনে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।

 

মামলার আরজিতে স্বামী নুর হোসেন উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর উপজেলার শাহমীরপুর গ্রামের জাগিরপাড়ার বাসিন্দা জাফর আহমদের কন্যা সেলিনা আকতারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তার অবাধ্য হতে শুরু করে তার স্ত্রী।

 

এক পর্যায়ে স্ত্রীর অশোভন আচরণ ও পর পুরুষের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। গত ৩১ আগষ্ট তার স্ত্রী ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল বাসা থেকে সরিয়ে ফেলে। এসব মালামাল চাইতে গেলে স্ত্রী ১০ ভরি স্বর্ণালংকারের দাবি করে, না হয় তার সংসার করবে না বলে জানায়।

 

এর আগে ২০২১ সালেও স্ত্রীর এসব কাজে বাধা দিলে উল্টো স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করে তার স্ত্রী। যদিও চলতি বছরের ১৭ জুলাই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়। সর্বশেষ গত ১০ অক্টোবর স্বামীর মোবাইল ফোনে ‘তোমার সংসার করব না’ একটি ম্যাসেজ দিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী। এর ফাঁকে গত ৩ নভেম্বর স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী বাসার আসবাবপত্রসহ সব মালামাল নিয়ে যায়।

 

এ ঘটনায় সেলিনা আকতারকে (৩০) আসামি করে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন স্বামী নুর হোসেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত কর্ণফুলী থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

 

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে এর সত্যতা পাওয়া গেলে আদালত স্ত্রী সেলিনা আকতারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। তবে কর্ণফুলী থানাধীন শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি অমিতাভ দত্তের দাবি, সেলিনা আকতারকে বাসা-বাড়ির কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ সেলিনা আকতারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

 

এ বিষয়ে জানতে সেলিনা আকতারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 

স্বামী নুর হোসেন জানান, এর আগেও এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সেলিনা আকতারের। সেই স্বামীর সংসারে থাকা অবস্থায় পরকীয়ায় ধরা পড়ে সেলিনা। পরে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে সংসারটি ভেঙে দেন তিনি। এসব বিষয় গোপন রেখে আমাকে ট্রাপে ফেলে সম্পর্ক করে সেলিনা। বিয়ের পর তার অপকর্মের কথা জানাজানি হলে তাকে সংশোধনের সুয়োগ দিই। সেলিনার নামে ১০ লাখ টাকা মূল্যের দেড় শতাংশ জমি কিনে দিয়েছি। সেই জমিতে এখন পাকাঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেলিনা আমার সংসার তছনছ করে দিয়ে সব লুটে পালিয়ে গেছে।

 

আরও খবর

Sponsered content