এসএসসি পাসেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক!

দুুই বার পরীক্ষায় ফেল করে তৃতীয়বারে টেনেটুনে এসএসি পাস। তবুও প্যাডে নামিদামি ডিগ্রি ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে প্রায় ৪ বছর ধরে অসংখ্য দাঁতের রোগীদের সেবা দিয়েছেন তিনি।

অবশেষে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ধরা পড়েন ওই ভুয়া চিকিৎসক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কের রতন ডেন্টাল কেয়ার সেন্টারে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভুয়া চিকিৎসককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

ভুয়া চিকিৎসকের নাম জাহিদ হাসান রতন (৪৩)। তিনি কুমারখালী পৌরসভার এলংগী এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। তার বাবাও হাতুড়ে দাঁতের চিকিৎসক ছিলেন।

সেই সূত্রে তিনিও প্রায় ৪ বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ভুয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রশাসন ও স্থানীয়রা।

এতথ্য নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল আরাফাত জানান, তিনবারের মাথায় শুধুমাত্র এসএসসি পাস করে প্যাডে নামিদামি ডিগ্রি ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে প্রায় ৪ বছর ধরে অসংখ্য দাঁতের রোগীদের সঙ্গে সেবার বদলে প্রতারণা করে আসছিলেন রতন।

একজন ভুক্তভোগীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভুয়া চিকিৎসককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।