বিনোদন

মায়ের কাছে মন পড়ে থাকে: অর্ষা

মায়ের কাছে মন পড়ে থাকে: অর্ষা

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা। প্রায় ১৩ বছর ধরে শোবিজে কাজ করছেন তিনি। খুব অল্প সময়েই নিজের অভিনয় দক্ষতায় দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। পাশাপাশি অর্জন করেছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। বরাবরই নিজেদের কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকেন তারকারা। ব্যতিক্রম নন অর্ষাও। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও মায়ের কাছেই তার মন পড়ে থাকে বলে জানান এই অভিনেত্রী।

 

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের কাজের নানান বিষয়ে নিয়ে কথা বলেন অর্ষা। এ সময় মায়ের প্রসঙ্গ উঠতেই ওই কথা বলেন তিনি।

 

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে অভিনেত্রীর মা ভীষণ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে তাকে ভর্তি করান অর্ষা। অভিনেত্রীর মা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির রোগে ভুগছেন, পাশাপাশি ডায়াবেটিসের সমস্যাও বেড়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে তিন বোন মিলেই মায়ের দেখভাল করছেন।

 

এ প্রসঙ্গে অর্ষা বলেন, এখন তিন বোন মিলে মাকে সময় দিচ্ছি। আমি যেহেতু বড়, তাই বেশি ভাবতে হয়। দেড় বছর ধরে এমনটা চলছে। খুব খুশিমনেও যে কাজ করছি, তা না। কোথাও গেলে মন পড়ে থাকে মায়ের কাছে।

 

তাই কোথাও যাওয়াও হচ্ছে না। মায়ের এখন একটা চিন্তা, আমরা তিন বোন যেন মিলেমিশে থাকি। ওদের রেখে যেন আলাদা না থাকি। বিয়েশাদি করলেও ওদের যেন দেখে রাখি।

 

এ দিকে মা হাসপাতালে থাকলেও গত ৮ সেপ্টেম্বর মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার গ্রহণের জন্য অর্ষাকে হাজির হতে হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে। চলতি বছর সমালোচক বিভাগে সীমিত দৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্র ‘গালিবের প্রেম ও বসন্তের কাব্য’র জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

 

জানা গেছে, এ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকা মায়ের কাছ থেকে কয়েক ঘণ্টার ছুটি নিয়ে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যান অর্ষা। তবে কোথায় যাচ্ছেন সেটা মাকে বলেননি তিনি। শুধু বলেছেন, একটা কাজে যাচ্ছেন।

 

তবে পুরস্কার পাওয়ার পর ট্রফি হাতে অর্ষার কিছু ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকেরা অসুস্থ মাকে জানান, অর্ষা আপু তো পুরস্কার পেয়েছে আন্টি।

 

এরপরেই মায়ের ফোন পান অর্ষা। তিনি অভিনেত্রীকে বলেন, তুমি কি কোনো পুরস্কার পেয়েছে? জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কিভাবে জানলে। মা বললেন, হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারা বলাবলি করছিল।

 

আমি বললাম, হ্যাঁ, মা পুরস্কার পেয়েছি। মা বললেন কোথায় গেছ তুমি? কই আমাকে তো কিছু বলোনি। মা, তুমি অসুস্থ, তাই বলিনি। যাক, তুমি পুরস্কার পেয়েছ, আলহামদুলিল্লাহ। এখন একটা ছবি তুলে ফেসবুকে দাও। তারপর দিলাম। মা ভীষণ খুশি হয়েছেন। এটাই আমার প্রাপ্তি।