বাংলাদেশ

ঈদে বাসভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সাফাই গাইলেন শাজাহান খান

ঈদের সময় বাসভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সাফাই গাইলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই, পরিবহন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে হলে পরিবহনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শাজাহান খান।

 

ঈদের সময় বাসভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যায়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। কিছুক্ষণ আগে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিমানের ভাড়া বাড়ছে, নাকি কমছে? বিমান কি যানবাহন না? অবশ্যই বিমান গণপরিবহন।

 

ঢাকা থেকে যাচ্ছে, সেই গাড়িটা কিন্তু ফাঁকা আসতেছে। সেখানে অনেক সময় তারা ভাড়া কিছুটা বাড়ায়, তাও খুব বেশি না। ডাবল নেয় না। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ যদি গাড়ি না পায়, তাহলে হয় ইজিবাইক, অথবা মাইক্রোবাস, অথবা নানানভাবে- সে কিন্তু যাবেই। দেখা যায় নানানভাবে সে কষ্ট করে যাচ্ছে।

 

বাড়তি ভাড়াটাকে আপনি বৈধতা দিচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাড়তি ভাড়া কোনটা? বাড়তি ভাড়া বলতে সবসময় যেটা নেয়, তারচেয়ে যেটা বেশি নেয়। কিন্তু সেখানে ডিসকাউন্ট আছে। বিভিন্ন সময় ৫০০ টাকা ভাড়া হলে হয়তো ১০০ টাকা ডিসকাউন্ট সারা বছর চলে। ঈদের সময় হয়তো ওই ১০০ টাকা বাড়তি নেয়া হয়। সেটাকে মনে করে বাড়তি ভাড়া।

তার মানে কি সারা বছর পরিবহন লোকসান দিয়ে চলে- এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক নৌমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই, পরিবহন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে হলে পরিবহনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। পরিবহন নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর পরিসংখ্যান আছে, এবং বিভিন্ন কথা বলা হয়; এটি পরিবহন ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তোলে।

 

আমরাও চাই ভাড়া বাড়ুক। মালিকরা যতই বলুক তারা বাড়া বৃদ্ধি করবে না, কিন্তু দেখা যায় মালিকরা ভাড়া বেশি নিয়েই থাকে। ওই যে সারা বছর যেটা ডিসকাউন্ট করে সেটাই বাড়ে। যে ভাড়াটি সরকারিভাবে নির্ধারিত তার পরেও তারা সারা বছর ডিসকাউন্ট দেয়।

 

তেলের দাম কমায় বাসভাড়া সমন্বয় করা হবে, সেটি নিয়ে আজকে কথা হয়েছে। মালিকরাও বলেছেন, মন্ত্রীও বলেছেন এটি নিয়ে কথা বলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। টিকিট কালোবাজারি হয় না? সেখানেই কিন্তু বাড়তি ভাড়া হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তেলের দাম কমায় মালিকসহ সবাই সম্মত হয়েছেন যে পরিমাণ দাম কমেছে, সেটি তারা সমন্বয় করে নেবেন। শাজাহান ভাই যেটি বলেছেন, তারা যে ডিসকাউন্টটা দেন সারা বছর, ঈদে সেটি দেন না। বিআরটিএর মাধ্যমে নির্ধারিত ভাড়াটিই তখন তারা নেন। তিনি কনসিডার করতে বলেন সবসময় বাসটা খালি ফেরত আসে, সেটির একটা খরচ আছে। সেই খরচটা অনেক মালিক নিয়ে থাকেন।

 

আরও খবর

Sponsered content