সারাদেশ

একসঙ্গে বিষপান, প্রেমিকা বেঁচে গেলেও মারা গেলেন প্রেমিক

প্রেমঘটিত কারণে একই গ্রামের দু’ শিক্ষার্থী বিষপানের আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় এক ছাত্রের মৃত্যু হলেও বেঁচে আছে ছাত্রী। এমন ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার খাঁড়িতা গ্রামে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভোর রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল জয়পুরহাটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুরাদ শেখ নামে এক শিক্ষার্থী মারা যায়। এর আগে গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে তারা বিষপান করেন।

 

নিহত মুরাদ শেখ (১৭) হলো উপজেলার বরতারা ইউনিয়নের খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে। সে এবার বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

 

আর বেঁচে যাওয়া প্রেমিকা তাজমিন আক্তার (১৫) একই গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে। সে বাঁকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের বলেন, মুরাদ এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। শুনেছি সে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে করেছে এটি জানা নেই।

 

ওই গ্রামের কয়েকজন বলেন, মুরাদের সাথে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের পরিবার সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এজন্য তারা বিষপান করেছে।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরাদের পরিবার তাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের পর দেশের বাইরে যাওয়ার কথা।

 

এরপর তাই দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করে। তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা বাড়ি ফিরে।

 

গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

 

এ বিষয়ে কিশোর-কিশোরীর পরিবারের কেউ কথা বলতে চাননি।

 

জানতে চাইলে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপান করেছে।

 

প্রেমিক মুরাদ মারা গেছে। আর তাজমিন আক্তার সুস্থ আছে। এ ঘটনায় নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content