সারাদেশ

দিশেহারা ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে

দিশেহারা ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে

মাসুদ তালুকদার (৫০) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় একটি কলেজে এমএলএসএস পদে কর্মরত ছিলেন। ৬ মাস আগে তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এর আগে এক বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন মাসুদের স্ত্রী লাকি বেগমও (৪০)।

 

বরিশাল নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের টিয়াখালীতে ভাইয়ের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন হতদরিদ্র মাসুদ। তিন সন্তানের ভরনপোষনও আর চলছে না। চিকিৎসকের মতে, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা চালিয়ে গেলে এই দম্পতির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

ক্যান্সার আক্রান্ত মাসুদ জানান, তিনি ও তার স্ত্রী কঠিন এ রোগে কিছুদিন ধরে আক্রান্ত। অসুস্থতায় তেমন কোনো কাজও করতে পারছেন না। নিজের পক্ষে আর চিকিৎসা ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। ৩ সন্তান কীভাবে বেঁচে থাকবে সেটি নিয়েও চিন্তিত তিনি।

 

প্রথমে রাজধানীর শান্তি ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা। এখন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ড. মো: মহসীন হাওলাদারের তত্ত্বাবধানে আছেন। ডাক্তার কাদের বলেছেন দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা নিতে। কিন্তু সেই সমর্থ নেই।

 

মাসুদের ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেনের বাসা নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের টিখাখালীতে। জাকির বলেন, তার ভাই ৬ মাস আগে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। এক বছর আগে ভাবিও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ডাক্তার বলেছেন, চিকিৎসা অব্যাহত থাকলে সুস্থ হতে পারেন।

 

এজন্য কয়েক মাস ধরে দুই জনকেই তার বাসায় রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। মাসুদের ২ ছেলে এবং এক মেয়েও এখানেই থাকেন। তারা ভাইয়েরা মিলে এতোদিন চিকিৎসার ব্যয় মেটালেও আর পাড়ছেন না। ভাইয়ের আয়ের উৎসও নেই।

 

এব্যপারে বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, সরকার ক্যান্সারসহ ধরনের ৬টি দুরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রে প্রতিবছর বিভিন্ন মেয়াদে চিকিৎসা সহায়তা দেয়। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে রোগ নিশ্চিত হওয়া গেলে এমন রোগীরা সরকারি চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।

 

আরও খবর

Sponsered content