সারাদেশ

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগ 

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগ 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোছা. সাথী খাতুন নামে এক প্রসূতির জরায়ুর নাড়ি ভুল চিকিৎসায় কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উপজেলার দারুস সেফা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

 

জানা যায়, উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হরিগোবিন্দপুর গ্রামের আবদুল মাজেদের স্ত্রী মোছা. সাথি খাতুন গর্ভবতী অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কালীগঞ্জ দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে যান। ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত চিকিৎসক রোকসানা পারভীন রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বলেন, বাচ্চা পেটের ভেতর মারা গেছে, তাকে এখনই সিজার করতে হবে, না হলে রোগীও মারা যাবে।

 

এরপর ডা. রোকসানা পারভীনের তত্ত্বাবধানে সিজার করার সময় প্রসূতির জরায়ুর নাড় কেটে ফেলা হয়। পরদিন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দারুস শেফা হাসপাতাল কর্তপক্ষ রোগীকে দ্রুত খুলনা নিয়ে যেতে বলেন। তাৎক্ষণিক প্রসূতির স্বামী আব্দুল মাজেদ তার স্ত্রীকে যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তপক্ষ রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করে। ওই রোগী যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

ভুক্তভোগী সাথী খাতুনের স্বামী আব্দুল মাজেদ মুঠোফোনে জানান, দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসক ডা. রোকসানা পারভীন আমার স্ত্রীর সিজার করার সময় জরায়ুর নাড় কেটে ফেলেছে। সে আর কোনোদিনই মা হতে পারবে না।

 

হাসপাতাল খুলে কী চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে তারা? আমার স্ত্রীর যে ক্ষতি হলো তা কীভাবে পূরণ হবে? আমার স্ত্রী এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়। আমি বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এই ভুল চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক এবং ওই প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

 

এ ব্যাপারে দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার রোকসানা পারভিন জানান, ওই নারীর অপারেশন আমি করিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার অপারেশন হয়েছে এটা সঠিক। কিন্তু অপারেশনটি করেছেন ডা. প্রতাপ বাবু।

 

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জনকে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কালীগঞ্জের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অপচিকিৎসার নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।

 

আরও খবর

Sponsered content