সারাদেশ

ফুলবাড়ীয়ায় দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে মসজিদ ভাঙচুর

ফুলবাড়ীয়ায় দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে মসজিদ ভাঙচুর

দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সরাতিয়া এলাকায় সরাতিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বড়পুকুর পাড় জামে মসজিদ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ ঘটনায় মোস্তাক আহমেদ বাদী হয়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-১৫,১৬/০৩/২৪।

 

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মোবারক ফকীর ও প্রতিবেশী তাহের ও খলিল গংদের সাথে গভীর নলকূপের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। যে দ্বন্দ্ব সবশেষ গড়িয়েছে মসজিদে। এক পক্ষ আরেক পক্ষের সাথে কোন ধরনের বনিবনা না থাকায় সম্প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে ৫০ গজ দূরত্বে আলাদাভাবে তৈরি করেছেন ওয়াক্তিয়া মসজিদ।

 

শুক্রবার উভয় পক্ষ সম্মিলিতভাবে আদায় করেন জুম্মার নামাজ। পরে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তিতে উভয় গ্রুপের আলোচনার কথা হলেও শুরু হয় বাক-বিতণ্ডা। এমতাবস্থায় তাহের,খলিল, শাখাওয়াত, আব্বাসসহ সংঘবদ্ধ ৩০-৪০ জন মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় বিল্ডিং ভাঙার হামার (হাতুড়ি সদৃশ) দেশীয় তৈরি শাবল দিয়ে মসজিদ ভাঙচুর করে। ও আইপিএস, মাইক, ফ্যানসহ মসজিদে ব্যবহৃত লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। যদিও এ ঘটনায় অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য তারা মসজিদ নতুন করে নির্মাণের জন্য ভাঙচুর করেছেন।

 

এ ঘটনা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ায় ফুঁসে ওঠে স্থানীয় ও আশপাশের মুসল্লীরা। সেইসাথে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে বইতে থাকে নিন্দার ঝড়। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র শুক্রবার রাতেই বিক্ষুব্ধ মুসল্লীরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।

 

এসময় বিক্ষোভকারীদের সান্ত্বনা দিয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুজ্জামান। তিনি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মুসল্লীদের নিজ হাতে আইন তুলে না নেওয়ার অনুরোধ করেন।

 

মসজিদের মুসল্লী আব্দুল খালেক বলেন, মুসলমান হয়েও রমজান মাসে মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর ইসরায়েলি নারকীয় তান্ডবকে ও হার মানিয়েছে।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান এই প্রতিবেদককে জানান, সামাজিকভাবে দু পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। আমি ও চেয়ারম্যানসহ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি।

 

কোন ফলপ্রসূ হয়নি। সামাজিকতার কোলাহলের জেরে মসজিদ ভাঙচুর করেছে। যা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা।

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় আলেম সমাজ ঘটনার ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। এরকম পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণ করাকে অন্যায় বলেও দাবি করেন তারা।

 

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান বলেন, এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া হামলায় ব্যবহৃত হামার, লুট করা ফ্যান উদ্ধার করা হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content