লাইফ স্টাইল

চিয়া বীজ না ফ্ল্যাক্সসিড, কোনটি খাবেন?

চিয়া বীজ না ফ্ল্যাক্সসিড, কোনটি খাবেন?

শরীর ফিট রাখতে কত কিছুই না করা হয়। হাঁটাহাটি, যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা। এর পাশাপাশি সঠিক খাওয়াদাওয়াটাও ভীষণ জরুরি। সুস্থ সবল থাকতে অনেকেই আজকাল দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করছেন নানা প্রকার বীজ। ভিটামিন ও খনিজের মতো এসব বীজও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ওজন কমানো থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সব ক্ষেত্রেই বীজ বেশ কার্যকর।

 

শরীর সুস্থ রাখতে কেউ খান চিয়া বীজ, আবার কেউ কেউ ভরসা রাখেন ফ্ল্যাক্সসিডে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানো থেকে পেটের সমস্যা কমানো সবই করতে পারে এই সব বীজ। আয়রন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাস – প্রায় একই রকম খনিজে সমৃদ্ধ চিয়া এবং ফ্ল্যাক্সসিড। এ কারণে অনেকেই বুঝতে পারেন না কোন বীজ খেলে বেশি উপকারিতা মিলবে। এই দুই বীজ খেলে কী ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় তা জানানো হয়েছে ‘বোল্ড স্কাই’য়ের এক প্রতিবেদনে।

 

চিয়া বীজ:

চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ। এ ছাড়া এই বীজের মধ্যে ফাইবারও থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাই একে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা যায়। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হজমশক্তি বাড়ে, ওজন কমে, হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে, হাড় মজবুত হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখন বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা হচ্ছে এই বীজ। পুডিং, স্মুদি, জুস, স্যালাডের সঙ্গেও চিয়া বীজ খান অনেকে।

 

ফ্ল্যাক্সসিড:

চিয়ার মতো ফ্ল্যাক্সসিডের মধ্যেও রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন। এই বীজের মধ্যে থাকা ফাইবার পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি রাখে। আর পেট ভরা থাকলে বাইরের খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও, এই সুপারফুড রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমায়। ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে এই বীজে। ডায়াবেটিস থেকে বাড়তি ওজন, সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখবে চিয়া বীজের পানি।

 

পুষ্টিবিদদের মতে, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড দুটিই অত্যন্ত পুষ্টিকর। এই দুই বীজের উপকারিতাও অনেকটাই এক। এই দুই ধরনের বীজই হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এর মধ্যে কোনও একটা বীজ রাখা যেতেই পারে।