আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ৬ শিশুসহ একই পরিবারের ১১ সদস্যকে হত্যা

পাকিস্তানে ৬ শিশুসহ একই পরিবারের ১১ সদস্যকে হত্যা

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় একই পরিবারের ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ছয় শিশু। অভিযোগ উঠেছে, পারিবারিক বিবাদের জেরে তাদের বিষ প্রয়োগ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। খবর ডনের। বুধবার প্রদেশের লাকি মারওয়াতের শেখ নিয়াজী কুর্না তখতিখেল এলাকায় ঐ ১১ সদস্যকে তাদের বাড়িতে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায়।

 

নিহতরা হলেন :সরদরাজ নামক এক ব্যক্তির ছেলে সরদরাজ তাবেদার, তার স্ত্রী সওদানা বিবি, তাদের ছেলে আল্লাহ নূর ও আবদুর রহিম এবং মেয়ে মুজলেফা ও বসরিনা বিবি। নিহতদের মধ্যে আরো রয়েছে সরদরাজের আরেক ছেলে আমালদার, তার স্ত্রী গুলদানা, তাদের ছেলে আমিরুল্লাহ এবং মেয়ে নাইফা ও নূরবানা।

 

তাবেদারের চাচা উমর গুল (৬৭) পুলিশকে বলেন, ‘আমার ও আমার ভাতিজার বাড়ি পাশাপাশি। বুধবার সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে শোবার ঘর বাইরে থেকে তালা দেওয়া দেখতে পাই। একপর্যায়ে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিই।

 

দরজা ভাঙার পর তাবেদার, তার স্ত্রী ও সন্তানদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। ‘আমালদার, তার স্ত্রী ও সন্তানদেরও তাদের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে আমি আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীদের ডেকে লাশগুলো সেরাই নওরাং শহরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করি।

 

উমর গুল বলেন, আমালদারের মেয়ে চামতির বিয়ে হয়েছিল উত্তর ওয়াজিরিস্তান উপজাতীয় জেলার মাদাখেল এলাকার বাসিন্দা সাদ্দার খানের ছেলের সঙ্গে। কয়েক দিন আগে সাদ্দার খান আমালদারের বাড়িতে রাত কাটিয়েছিলেন। গুলের দাবি, সাদ্দার খানই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছেন। কারণ তিনি ও তার ছেলে চামতি বিবির প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন।

 

স্থানীয় পুলিশের ধারণা, নিহতদের দুই-তিন দিন আগে নির্যাতন ও বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঐ ১১ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বাড়ি থেকে কিছু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content