9 January 2024 , 12:50:26 প্রিন্ট সংস্করণ
যশোরে লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। তাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর শহরের বড়বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহলের পাশাপাশি তল্লাশি অভিযান চালাতেও দেখা গেছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে যশোর জেলা বিএনপি। কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টার দিকে শহরের দড়াটানা মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করেন দলের নেতা-কর্মীরা। দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সেখানে অংশ নেয়।
দলের নেতা-কর্মীরা আরও জানান, দড়াটানা থেকে লিফলেট বিতরণ করে কাপুড়িয়া হাটচান্নি বাজারের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা শুরু করে। তাতে দলটির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরে শান্তিপূর্ণভাবে লিফলেট বিতরণ করেন নেতা-কর্মীরা। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্দয়ভাবে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের ডামি ভোট বর্জন করেছে সাধারণ জনগণ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যখন আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, এই অবৈধ সরকার এখন বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও ভয় পাচ্ছে। গণতন্ত্র হত্যা করে সরকার একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করে যে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, সেটার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এ ভয়। নেতা-কর্মীদের ওপর এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি কর্মসূচি পালন করেছে কিনা সেটা জানা নেই। পুলিশ লাঠিপেটা করেছে কিনা সেটাও জানা নেই।