মধ্যরাতে শিক্ষকের বাড়িতে মল নিক্ষেপ করল ছাত্ররা!

চুয়াডাঙ্গার খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হারুন অর রশীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন নিয়মিত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে বাড়ির গেট ও উঠানে তারা পটকা ও নিজেদের মল নিক্ষেপ করে। অভিযুক্ত নয় শিক্ষার্থীর ৮ জনই খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ও একজন বহিরাগত যুবক; যাদের সকলের বাড়ি খাড়াগোদা গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৪ মার্চ) বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষে বিকট শব্দের পটকা ফুটায় কয়েকজন শিক্ষার্থী।

পরে শ্রেণী কক্ষের কয়েকজন ছাত্রী হারুন অর রশীদের কাছে জানালে তিনি অভিযুক্তদের ধরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে সতর্ক করে ছেড়ে দেন।

এরই প্রেক্ষিতে রোববার রাতে ক্ষোভে এই কাজ করে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে।

রাতে ৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের বাড়ি গেলে সবাই পলাতক থাকায় কাউকে পায়নি।

তবে রাত ১টার দিকে চার অভিযুক্ত ও তাদের পরিবার ওই শিক্ষকের বাড়িতে এসে ক্ষমা চাওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় নিক্ষেপ করা মল ধুয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক হারুন অর রশীদ জানান, বিদ্যালয়ে শাসন করেছি বলে তারা যুক্তি করে আমার বাড়িতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে; যা সত্যিই দুঃখজনক।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খোকন বলেন, বিষয়টি সত্যিই জঘন্যতম। এমন কর্মকাণ্ড মানসম্মত কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে না, যা সত্যিই বড় ধরনের অপরাধ।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষক আমার কাছে অভিযোগ করেছেন; যার প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ও কমিটির সিদ্ধান্তে ৮ শিক্ষার্থীর শ্রেণী বর্জনের নির্দেশ দিয়েছি।

এর প্রেক্ষিতে তদন্ত করে দেখবো। আর অভিযুক্তরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।

এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তরা দাবি করে, তারা বিদ্যালয়ে পটকা ফুটায়নি তবুও ওই শিক্ষক তাদের অযথা অফিসে ডেকে অপমানিত করেছে। এ জন্যই তারা একাজ করেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে ওই শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে একটা সালিশ হতে পারে বলে জানান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।