সারাদেশ

স্বামীর বন্ধুর কাছে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

স্বামীর বন্ধুর কাছে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

মিঠাপুকুরে স্বামীর বন্ধুর কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এসময় ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে ধর্ষকের লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে একটি মামলা হয়েছে। তবে, আসামীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি।

 

ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল গ্রামের দরিদ্র কৃষক হামিদুল তার বন্ধু সাদেকুলসহ গত বুধবার রাতে পাশের আখিরা নদীতে মাছ ধরতে যান।

 

হামিদুলের স্ত্রী (৩০) বাড়িতে ঘরে শুয়ে পড়েন। এ সময় মাছ ধরা বাদ দিয়ে কৌশলে স্বামীকে রেখে বন্ধু সাদেকুল ইসলাম ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষককে আটক করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে।

 

পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষকের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী হামিদুল বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষক ও হামলা-ভাংচুরে নেতৃত্ব দেওয়া সাইদুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

 

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী হামিদুল বলেন, সাদেকুল ইসলাম আমাকে রেখে ওষুধ খাওয়ার কথা বলে বাড়িতে যায়। কিন্তু তার বাড়িতে না গিয়ে আমার বাড়িতে যায়। সুযোগ বুঝে ঘরে ঢুকে স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

 

তাকে খুঁজতে বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাাই। স্ত্রীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ধর্ষক সাদেকুলকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়ে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায় সাইদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।

 

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাাফিজুর রহমান বলেন, ওই গৃহবধূকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে, অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও খবর

Sponsered content