1 January 2024 , 5:31:13 প্রিন্ট সংস্করণ
গাজায় অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটি হামাসকে নিধনের নামে একের পর এক এ হামলা চালিয়ে আসছে। দেশটির এ হামলায় আলআকসা মসজিদের সাবেক এক ইমাম নিহত হয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনের সাবেক মন্ত্রীও ছিলেন। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির সাবেক মন্ত্রী ও আল আকসার ইমামের বাড়িতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। রোববার তার বাড়িতে হামলা চালালে তিনি নিহত হন। ওয়াফা নিউজ এজেন্সি ও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল আকসার সাবেক এ ইমামের নাম ইউসুফ সালামা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের ধর্মবিষয়কমন্ত্রী ছিলেন। গাজার আলমাগহাজি শরণার্থী শিবিরে হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।
আল আকসার এ ইমাম ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৬ সালের মার্চ পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ফিলিস্তিনের সাবেক এ মন্ত্রী ও আল আকসার এ ইমামকে হত্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, হামাসের হামলার জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ২১ হাজার ৬৭২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তবে দক্ষিণ গাজাও নিরাপদ নয় বলেই জানিয়েছেন তারা। সম্প্রতি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শহরটিতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে হামাস।
রাফাহ শহর থেকে ইউএনআরডব্লিউএর গাজা শাখার পরিচালক টম হোয়াইট বিবিসিকে বলেছেন, ১০ লাখের বেশি মানুষ রাফাহ শহরে নিরাপত্তার প্রার্থনা করেছেন। এখানে কোনো জায়গা ফাঁকা নেই। সব জায়গায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজাজুড়ে ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খান ইউনিস ও অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি হামলা জোরদার হওয়ায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহ শহরে প্রবেশ করছে।