লাইফ স্টাইল

কম বয়সে বিয়ে করার যত উপকারিতা 

কম বয়সে বিয়ে করার যত উপকারিতা 

বিয়ের সঠিক বয়স কোনটি তা নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। অনেকেই বলেন বিয়ে এবং সম্পর্ক আসলে কী, তা বুঝেই বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। আবার এর সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয় জড়িত বলে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই বিয়ের কথা ভাবেন না। তবে দ্রুত বিয়ে করাই বুদ্ধিমানের মতো কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কম বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা সম্পর্কে-

 

১. আপানি যদি অল্প বয়সে বিয়ে করেন তাহলে দ্রুত সন্তান নেওয়ার চাপ আসবে না। সন্তান জন্মের পর তাদের পড়াশোনা নিয়ে প্রথম থেকেই ভাবতে হবে না। দম্পতি মিলে প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন খুব সহজেই।

 

২. আপনি যদি বেশি বয়সে বিয়ে করেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্কে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ব্যাপারটি বরং এমন হবে, বিয়ে করার কথা তাই বিয়ে করেছি।

 

৩. বেশি বয়সে বিয়ে করলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। বয়স বেশি হওয়ার কারণে কোনো কোনো সময় নারী বা পুরুষ সন্তান জন্মদানে জটিলতায় পড়েন। আবার সন্তান জন্মদানের পর তাকে লালন-পালনে যথেষ্ট সময়ও পাওয়া যায় না। এ জন্য অল্প বয়সে বিয়ে করলে অনেকাংশে এসব সমস্যার সমাধান হয়।

 

৪. আজকাল দেখা যায় পরিবার হঠাৎ করেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। এর ফলে ডিভোর্সের সংখ্যাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিপরীতে যদি অল্প সময়ে বিয়ে করা হয় তাহলে ডিভোর্স হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার ডিভোর্স হলেও নতুন করে জীবনকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট সময় পান তারা।

 

৫. সন্তান প্রাপ্ত বয়স হওয়ার পরও বিয়ে না করালে তারা সমাজ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে সামাজিকভাবে সম্মানহানিও হয়। বিপরীতে সন্তানকে যদি অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু এই ভয় অনেকটা কমে যায়। সন্তান শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে এবং সে দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।

 

৬. আগে ভাগে বিয়ে করে ফেলার একটু অন্যরকম কিছু সুবিধাও আছে। আগে বিয়ে করলে আপনার কাছে এসে কেউ ‘কেন বিয়ে করছ না’, ‘কবে বিয়ে করবে’, ‘বয়স বেড়ে যাচ্ছে’, ‘কাউকে পছন্দ আছে কি’ ইত্যাদি ধরনের বিরক্তিকর কথা শোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

 

আরও খবর

Sponsered content