সারাদেশ

যে কারণে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন শিক্ষক

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এক শিক্ষক। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থীর বাবা থানায় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীকে ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় টাঙ্গাইল শাহীন ক্যাডেট একাডেমির সফিপুর শাখায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে সুরিচালা এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে রমিম হাসান।

 

সোমবার দুপুরে ক্লাস চলাকালে এক সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলায় গণিত বিষয়ের শিক্ষক সামিউল ইসলাম রমিমকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে রমিম অজ্ঞান হয়ে ক্লাসেই ঢলে পড়ে।

 

বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ রমিমের পরিবারকে না জানিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনে। বিকেল ৫টার দিকে কয়েকজন শিক্ষক রমিমকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

 

আহত রমিমের বাবা রুহুল আমীন বলেন, তাঁর ছেলেকে শিক্ষক শাসন করবেন ভালো কথা। কিন্ত এভাবে একজন শিক্ষক ছোট একটি শিশুকে মারধর করবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর ছেলে এমনিতেই অসুস্থ। তার ওপর তাকে মারধর করে পুরো শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল শাহীন ক্যাডেট একাডেমির সফিপুর শাখার প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন বলেন, ওই শিক্ষার্থী ক্লাসে দুষ্টুমি করার কারণে তাকে মারধর করলে, সে আহত হয়। পরে কয়েকজন শিক্ষক দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সামিউল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খুদেবার্তা দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি।

 

কালিয়াকৈর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কালিয়াকৈর থানার ডিউটি কর্মকর্তা এসআই সামিয়া রহমান যুথি বলেন, সকালে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।