27 December 2023 , 6:59:13 প্রিন্ট সংস্করণ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিয়ের চার মাসের মাথায় পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় দুর্গম চরাঞ্চলে নিয়ে স্বামীকে হত্যার পর মরদেহ বালু চাপা দিয়েছে স্ত্রী। পরে স্ত্রীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকা থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম নাঈম হোসেন (২০)। সে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম (দুদুর) ছেলে। এ ঘটনার পরপরই পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ ও স্ত্রী রেশমি খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মাসুদ অর্জুনা ইউনিয়নের চরভরুয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এবং স্ত্রী রেশমি খাতুন একই ইউনিয়নের রামাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
জানা গেছে, নাঈম ও রেশমি প্রায় চারমাস আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। এরপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশমিকে নিয়ে নাঈম রামাইলে শ্বশুরবাড়িতে যায়। পরে রেশমি নাঈমকে নিয়ে বিকালে ঘুরতে বের হয়। এরপর রাতে রেশমি বাবার বাড়ি গিয়ে জানায় তার স্বামী নাঈম চলে গেছে। তারপর থেকে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
গ্রেপ্তারকৃত রেশমির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রেশমি পরকীয়ায় আশক্ত ছিল। তার প্রেমিকের সহায়তায় স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এরআগে স্বামী নাঈমকে নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী চরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। এরপর সরিষাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে প্রেমিকের সহায়তায় নদীর পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর মরদেহটি বালু চাপা দিয়ে রেশমি বাবার বাড়িতে চলে যায়।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। স্বামীকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহটি গুম করার জন্য বালু চাপা দিয়ে দেয়। রেশমিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার ও প্রেমিক মাসুদকে আটক করা হয়।