সারাদেশ

ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা, নেশার কারণে ৫ স্ত্রীর কেউ নেই

ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা, নেশার কারণে ৫ স্ত্রীর কেউ নেই

মাদারীপুরের রাজৈরে মাদকাসক্ত তুহিন ফকির ৫টি বিয়ে করেন; কিন্তু মাদকের নেশা ছাড়তে না পারায় স্ত্রীরা একে একে তাকে ছেড়ে চলে যান। এমন অবস্থায় মাদকাসক্ত ছেলে তুহিনকে পুলিশে ধরিয়ে দিলেন মা। সোমবার দুপুরে উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের উত্তর আড়াইপাড়া গ্রামের ফকির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

আটক তুহিন ফকির (৩৫) পেশায় একজন ইজিবাইক চালক ও ওই গ্রামের লোকমান ফকিরের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত গাঁজা সেবন করে আসছিলেন। বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেও তাকে গাঁজা সেবন থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। এমনকি সে একে একে পাঁচটি বিয়ে করেও মাদকের নেশা ছাড়তে না পারায় স্ত্রীরা একে একে সংসার ছেড়ে চলে যায়। অবশেষে মা রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

 

জানা যায়, সম্প্রতি তুহিন ফকিরের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী ও তার পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। অন্য কোনো পন্থা না পেয়ে অবশেষে তার মা ছকিনা বেগম সোমবার সকালে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসার কাছে অভিযোগ দিলে তার নির্দেশ মোতাবেক রাজৈর থানার এসআই মিজান তার বাড়িতে অভিযান চালান।

 

এ সময় গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তুহিনকে গ্রেফতার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তুহিন ফকিরকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

 

এ সময় তুহিন ফকির বলেন, আমি দীর্ঘ ২২ বছর যাবত গাঁজা সেবন করছি। এখন গাঁজা না খেলে আমি কোনো কাজকর্ম করতে পারি না। তাই আমি কোনো দিন গাঁজা ছাড়তে পারব না। আমাকে জেলে পাঠাক আর যেখানেই পাঠাক গাঁজা আমার লাগবেই।

 

রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

আরও খবর

Sponsered content