খেলাধুলা

শুরু আজ এশিয়া কাপ

শুরু আজ এশিয়া কাপ

অনেক নাটকীয়তা ও কাদা ছোড়াছুড়ির পর আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ১৬তম এশিয়া কাপ।

 

প্রথমবারের মতো এই আসর হচ্ছে দুই দেশে। ১৯৮৪ সালে প্রথম আসরের পর প্রতিবারই এক দেশে আয়োজিত হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। এবার ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাদা ছোড়াছুড়ির পর এশিয়া কাপ হচ্ছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। এতে করে ২০০৮ সালে সবশেষ এশিয়া কাপ আয়োজনের পর এই প্রথম টুর্নামেন্টের আয়োজক হতে পেরেছে পাকিস্তান।

 

এতদিনে এই প্রথম কোনো বহুজাতিক আসর বসছে দেশটিতে। এদিকে এই আসর দিয়েই এশিয়া কাপে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে নেপাল। টুর্নামেন্ট অভিষিক্তরাই আজ উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। মুলতানে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টায়।

 

এক যুগের বেশি সময় পর এশিয়া কাপ আয়োজক হওয়ায় পাকিস্তান উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রেখেছে আজ। এমনিতে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় না। এই অনুষ্ঠানে বিকাল ৩টায় সংগীত পরিবেশন করবেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গাইবেন খ্যাতিমান পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামও। এ ছাড়া আতশবাজি, পাকিস্তানি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকবে।

 

আসরে সর্বোচ্চ সাতবারের জয়ী ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। আর পাকিস্তান জিতেছে মাত্র দুবার। বাংলাদেশ ২০১২, ২০১৬ (টি-টোয়েন্টি) ও ২০১৮ সালে ফাইনাল খেলেছিল। তিনবারই শিরোপা হারানোর হতাশায় থামতে হয়েছে। এই আসর সব দলের জন্যই আলাদা রকম চ্যালেঞ্জের।

 

আর ৩৬ দিন পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকায় এবারের এশিয়া কাপ হয়ে উঠেছে দলগুলোর জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ। যেখানে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার চেয়ে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হওয়াটা মুখ্য।

এমন আসরের আগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা আছে সবচেয়ে বিপদে। দলটি কাল এশিয়া কাপের তালিকা দিয়েছে সেরা ক্রিকেটারদের ছাড়াই। তার কারণ ইনজুরি। ভারতও ইনজুরির কারণে লোকেশ রাহুলকে দুই ম্যাচের জন্য পাচ্ছে না। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার লিটন দাস জ্বরের জন্য নেই প্রথম ম্যাচে। একমাত্র পাকিস্তান ও নেপাল পুরো দল নিয়ে নামতে পারছে ইনজুরি বিঘিœত এশিয়া কাপে।

 

ভারত-পাকিস্তানের বৈরী রাজনীতির জন্য এবার দলগুলোতে দুই দেশে ম্যাচ খেলতে হবে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো খেলতে হবে দুই দেশে। শুধু আফগানিস্তান ও ভারত এক দেশে খেলার সুযোগ পাচ্ছে গ্রুপ পর্ব।

 

গ্রুপ পর্ব শেষে আফগানদের পাকিস্তান থেকে চলে আসতে হবে শ্রীলঙ্কায়। তখন শুধু ভারতই এক দেশে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। তাই ভারত ছাড়া বাকি সব দলেরই ভ্রমণ ক্লান্তির সঙ্গে লড়তে হবে।

 

বি গ্রুপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে ৩১ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে। আফগানদের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে সাকিবদের লাহোর যেতে হবে ৩ সেপ্টেম্বর। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে থাকলে শ্রীলঙ্কাতে সুপার ফোর পর্বের ম্যাচ খেলতে আবার ফিরতে হবে বাংলাদেশকে। আর গ্রুপে দ্বিতীয় হলে পাকিস্তানের লাহোরেই হবে সুপার ফোরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। এরপর আবার শ্রীলঙ্কায় ফিরতে হবে সাকিবদের।