খেলাধুলা

লজ্জায় সাকিবের অবসর নেয়া উচিত যে কারণে

অনেক দিন ধরেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে ৬০৭ দিন আর ২০ ম্যাচে সাকিবের ব্যাটে নাই একটা ফিফটিও।

 

শেষ ২০ ম্যাচে গড় কেবল ১৮। বল হাতেও খুব একটা যে স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন, এমনটাও বলা চলে না। তেমন উইকেটও পাচ্ছেন না।

 

সোমবার (১০ মে) টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচেও ভুগেছেন সাকিক। আনরিখ নরকিয়ার বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন।

 

বাংলাদেশও চাপে পড়েছিল সেখান থেকে। ১১৪ রানের ছােট্ট লক্ষ্যের ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হারে ৪ রানে। আর তাতে সাকিবের দায়ও দেখছেন অনেকে।

 

ম্যাচটি শেষে ক্রিকবাজের আলোচনায় সাকিবের ওপর একপ্রকার ক্ষোভ ঝাড়লেন ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। সাকিবের অবসর নেয়া উচিত বলে সরাসরি মন্তব্য করলেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা, আমি আগের আসরেই বলেছি, তার (সাকিব আল হাসান) আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা উচিত না।

 

ওই আলোচনায় শেবাগ বলেন, ‘আপনি এতই সিনিয়র খেলোয়াড়, অধিনায়ক ছিলেন দলের, এটা শেষ আসর। কিছু তো লজ্জা থাকা উচিত। বলা উচিত, আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছি। আমার বোলিং ভালো হচ্ছে না, ব্যাটিং ভাল হচ্ছে না। দলের জন্য আমি কিছু করতেই পারছি না। তাহলে আমি খেলে কী করব?

 

ভারতের সাবেক এই ওপেনার সাকিবের খেলার ধরণের সমালোচনা করে বলেন, ‌‘আপনি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বা ম্যাথু হেইডন না। আপনি এখন বাংলাদেশি খেলোয়াড়। নিজের মাত্রা অনুযায়ী খেলো। এটা তো আপনার রেগুলার শটই না।

 

ওই পরিস্থিতিতে সে কেনো নরকিয়ার বিপক্ষে পুল শট খেলতে যাবে? ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে যার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তারও এই সাধারণ জ্ঞান থাকা দরকার, প্রতি বলেই রান নেয়াই তার দলের জন্য যথেষ্ট ছিল।

 

নিজের অবসরের কথা উল্লেখ করেন শেবাগ, ‘যখন শ্রীলঙ্কায় বিশ্বকাপ হচ্ছিল, তখনই আমি বুঝেছি মরনে মরকেল বা আফগানিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে আমি নিজের মত খেলতে পারছি না।

 

তখনই নির্বাচকদের জানিয়ে দিই, আমাকে যেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বা এই ফরম্যাটে নেয়া না হয়। আমি কেবল ওয়ানডে এবং টেস্ট খেলে যেতে চাই।

 

সাকিবের শেষটা এখনই দেখছেন শেবাগ, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সাকিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড উভয়পক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হয় সাকিব নিজ থেকে সরে যাবে অথবা বোর্ড তাকে বাধ্য করবে।

 

আরও খবর

Sponsered content