সারাদেশ

প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে ডেকে এনে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে ডেকে এনে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকার রাজিম ওরফে সাজেদ (১৭) হত্যাকাণ্ডে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বহিনী। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলা ও যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর পুলিশ ও র‌্যাব। শনিবার (১১ অক্টোবর) পৃথক দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

 

আটককৃতরা হলেন শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া এলাকার ইয়াসিন বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ পায়েল (১৯), রুস্তম গাজীর ছেলে শিমুল গাজী (২৫), পূর্ববারান্দীপাড়ার রাইজের ছেলে রায়হান (২০) ও ঝুমঝুমপুর চান্দের মোড়ের আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে রায়েব সিদ্দিক (১৭)। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে যশোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটককৃত চার আসামিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন নিহততের বাবা। পুলিশ ও র‌্যাব বলছে, বন্ধুর ছুরিকাঘাতের প্রতিশোধ নিতে অপর বন্ধুরা হত্যা করে রাজিমকে।

 

হত্যাকাণ্ডের শিকার রাজিম ওরফে সাজেদ সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর স্কুল মোড় এলাকার বাদল খানের ছেলে। ঝুমঝুমপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ও শহরের চুড়িপট্টি এলাকার ভাই ভাই হোসিয়ারি দোকানের বিক্রয়কর্মী।

 

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, রাজিম পড়াশোনার পাশাপাশি যশোরের বড়বাজার চুড়িপট্টি এলাকায় একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতো। রাজিম ও গ্রেপ্তারকৃতরা একই কলেজে পড়াশোনা করত। একমাস আগে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া পায়েলের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে নিহত রাজিম ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।

 

এ ঘটনার পর থেকে রাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল পায়েলের বন্ধুরা। গত ৯ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে পায়েল, শিমুলসহ কয়েকজন রাজিমকে দোকান থেকে ডেকে পাশের গলিতে চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এ ঘটনায় রাজিমের বাবা মামলা করেন। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে বারান্দি মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পায়েলকে এবং গাড়িখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, পায়েল নামে তাদের এক বন্ধুকে রাজিম ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রাজিমের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। তাদের রাজিব হত্যা মামলায় আটক দেখিয়ে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।

 

এদিকে, নিহতের বাবা বাদল খান ও বড়ভাই হাফিজুর রহমান ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। রাজিম অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করে দোকানের কাজে ও ঝুমঝুমপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করেছিল। তারা ভেবেছিলেন এখন নিরাপদে থাকবে রাজিম। কিন্তু ঘাতকরা তাকে প্রাণে মেরে ফেললো।

 

আরও খবর

Sponsered content