9 November 2023 , 5:33:46 প্রিন্ট সংস্করণ
ঘরে দুজন ব্যাক্তি থাকার পরেও কিভাবে একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে? এমনই প্রশ্ন নেটিজেনদের। জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুতে দেশের শোবিজ অঙ্গন বেশ সরগরম হয়ে ওঠে। হিমুর মৃত্যুর পর প্রেমিক রুফিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপরেও মিহির প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। কেননা এই মিহির আরেক অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের মৃত্যুতেও পাশে ছিলেন। উঠেছে প্রশ্ন।
গত রবিবার সকালে মিহির নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন। সেখানে তিনি হুমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন। সঙ্গে রাখেন বেশ কয়েকটি প্রশ্নও। মিহির জানান, তিনি প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। সকলের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি না থাকলে হিমুর বয়ফ্রেন্ড তাকে ঘরের ভেতর ঝুলাইয়া রাইখা দরজা বন্ধ কইরা পালাইয়া যাইত। এটা কি হতো না?
এটা তো কেউ বলেন না যে, তুই ছিলি বলে হিমুকে আমরা বের করে আনতে পারছি বা ওকে ধরতে পারছে পুলিশ। হিমুর বয়ফ্রেন্ড ইন্ডিয়ান। না হলে তো ওই ছেলে হিমুকে রেখে কবে পালাইয়া যাইত। ঠাণ্ডা মাথায় পলাইয়া যাইত। আমি ভালো করছি এটা কেউ বলে না। সব খারাপ করছি, আমি রাবন। আমাকে পারলে ফাঁসি নিয়া দেন।
হিমুর আত্মহত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জিয়া দাবি করেছেন, ঘটনার দিন বিকালে হিমুর উত্তরার বাসায় যান তিনি। পরে অনলাইন জুয়ার বিষয় নিয়ে হিমু ও তার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় হিমু বাসায় ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে রুমের বাইরে থেকে একটি মই এনে সিলিংফ্যানে লাগানোর লোহার সঙ্গে পূর্ব থেকে বেঁধে রাখা প্লাস্টিকের রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তবে রুফি ও মিহির ঘরে থাকার পরেও কিভাবে আত্মহত্যা করতে পারে হিমু এটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিমুর মৃত্যুর ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন অভিনয় শিল্পী সংঘের নেতারা। এ বিষয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিমও বিস্ময় প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এটা সত্যিই অবাক করা ব্যাপার, একটা ঘরে দুইজন মানুষ থাকার পরেও অন্য একজন মানুষ আত্মহত্যা করে কিভাবে? এখন ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ফরেনসিক প্রতিবেদন না আসার পরে তো কিছু বলা যাচ্ছে না।