বিনোদন

রাশমিকার ফেক ভিডিও নিয়ে যা বললেন আসল ভিডিওর তরুণী

রাশমিকার ফেক ভিডিও নিয়ে যা বললেন আসল ভিডিওর তরুণী

দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মানদানার ডিপফেক ভিডিও তৈরির জন্য যে তরুণীর ক্লিপ ব্যবহার করা হয়েছিল তিনি এ ঘটনায় অত্যন্ত বিব্রত। সোমবার (৬ নভেম্বর) নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে জারা পাতিল নামে ওই তরুণী বলেন, এই ঘটনার পর তিনি ইন্টারনেটে নারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার জারা পাতিল। তাঁরই একটি ভিডিও ব্যবহার করে রাশমিকার ফেক ভিডিওটি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। জারা তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলেন, এ ঘটনার পর মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি দিতে আরও ভয় পাবে।

 

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমার নজরে এসেছে, কেউ একজন আমার দেহের ওপর জনপ্রিয় অভিনেত্রীর চেহারার ছবি বসিয়ে একটি ডিপফেক ভিডিও তৈরি করেছে। এ ডিপফেক ভিডিও তৈরির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যা হচ্ছে তাতে আমি অত্যন্ত বিব্রত এবং বিচলিত বোধ করছি।

 

জারা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বলেন, ‘আমি নারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এবং সেসব মেয়েদের নিয়ে চিন্তিত, যারা এখন তাদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করতে আরও বেশি ভয় পাবে। দয়া করে ইন্টারনেটে কিছু দেখলে সেটির সত্যতা যাচাই করুন। ইন্টারনেটের সবকিছুই সত্য নয়।

 

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাশমিকা মানদানা একটি লিফটে উঠছেন। তবে, ডিপফেক ব্যবহার করে তৈরি করা সে ভিডিওর নারী আসলে রাশমিকা নন, বরং জারা পাতিল। এআই টুল ব্যবহার করে জারার ঘাড়ে রাশমিকার মাথা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন রাশমিকা। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘নেট দুনিয়ায় আমার ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমার ভীষণ খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে, বিষয়টি নিয়ে আমি শঙ্কিত। এই শঙ্কা শুধু নিজের জন্য নয়, বরং তাদের প্রত্যেকের জন্য, যারা প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

 

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আজ একজন নারী ও অভিনেত্রী হিসেবে আমি আমার পরিবার, বন্ধু–বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছেও কৃতজ্ঞ; যারা আমাকে এই সময়ে সমর্থন দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনা যদি আমার স্কুল কিংবা কলেজজীবনে ঘটত, তবে আমি কীভাবে বিষয়টি সামাল দিতাম তা কল্পনাও করতে পারছি না। আমাদের সবার উচিত সমষ্টিগতভাবে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা বলা।

জনপ্রিয় বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চনও এই ডিপফেক ভিডিও নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার ভারত সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে চিঠি দিয়ে সাইবার আইন সম্পর্কে সতর্ক করেছে। এ ধরনের অপরাধের শাস্তি তিন বছর জেল এবং ১ লাখ রুপি জরিমানা—সেটি মনে করিয়ে দিয়েছে ভারতের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়।