রাজনীতি

পুলিশ ছেড়ে আসেন, রাস্তায় কয় মিনিট টেকেন মানুষ দেখবে : সাকি

পুলিশ ছেড়ে আসেন, রাস্তায় কয় মিনিট টেকেন মানুষ দেখবে : সাকি

ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধীদের দমন-পীড়ন করছে জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, পুলিশ ছেড়ে আসেন, রাস্তায় কয় মিনিট টেকেন বাংলাদেশের মানুষ দেখবে। আজ সোমবার দুপুরে অবরোধের সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন সাকি।

 

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পুলিশ আর র‍্যাবের প্রহরায় গুন্ডাবাহিনী দিয়ে লাঠি–সোঁটা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা দেন। খুব বীরত্ব! আওয়ামী লীগ নাকি জানে আন্দোলন কিভাবে করতে হয়, আন্দোলন কিভাবে ঠেকাতে হয়। পুলিশ ছেড়ে আসেন না, রাস্তায় কয় মিনিট টেকেন বাংলাদেশের মানুষ দেখবে।

 

তিনি বলেন, প্রশাসনে নিজেদের লোক বসিয়ে লুটপাটের ভাগ বাঁটোয়ারা দিয়ে পকেটে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে মনে করেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবেন। আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আপনারা যদি টিকতে পারেন ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে। আজ হোক কাল হোক আপনাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।

 

সরকার বিরোধী দলের আন্দোলনকে গণবিরোধী আন্দোলন হিসেবে উপস্থাপন করতে নিজেরাই পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করল যাতে সমস্ত পুলিশ সদস্যকে জনগণের বিরুদ্ধে এবং বিরোধীদের দমনে কাজে লাগানো যায়। সাংবাদিকদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হলো, যাতে পুরো সাংবাদিক সমাজকে বিরোধী দলের আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো যায়।

 

অবরোধে বাসেও সরকার তাদের এজেন্ট দিয়ে আগুন দিচ্ছে জানিয়ে সাকি বলেন, সরকার ভেবেছে আবার প্রতি দিন বাসে আগুন দিয়ে আগুন সন্ত্রাসের লেভেল এঁটে বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে পারবে। এবার বাংলাদেশের মানুষ সরকারের ছলচাতুরী ধরে ফেলেছে। কাজেই মানুষ আর এসব কথা বিশ্বাস করো না। মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে গণজাগরণের মধ্য দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান গড়ে তোলার জন্য।

 

সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের পার্টি অফিসে পাহারা বসানোর লোক খুঁজে পাচ্ছে না। গতকাল গণমাধ্যমে দেখলাম তারা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস রক্ষার জন্য লোকজন জড়ো করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সে পার্টি অফিস রক্ষার জন্য তেমন লোকজন পাচ্ছে না।

 

সাইফুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে জেলায় জেলায় শান্তি সমাবেশ, শান্তি কমিটি গঠন করেছিল ঠিক সেইভাবে বর্তমান অবৈধ সরকার শান্তি সমাবেশ করছে এবং শান্তি কমিটি গঠন করছে নিজেদের রক্ষা করার জন্য। কিন্তু পাকিস্তানিরা শান্তি কমিটি করে নিজেদের শেষরক্ষা করতে পারেনি। এই সরকারও শান্তি সমাবেশ করে শান্তি কমিটি করে কোনোভাবে তাদের অবৈধ গদি রক্ষা করতে পারবে না।

 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান প্রমুখ।

 

আরও খবর

Sponsered content