এক্সক্লুসিভ

ফেলোদের জুতা পরিষ্কার করতেন নিউটন

ফেলোদের জুতা পরিষ্কার করতেন নিউটন

ছেলেটার বাড়ি লিঙ্কনশায়ারের উলসথ্রোপ গ্রামে। পড়াশোনা করেন বিখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যলয় ছুটি হয়। কিন্তু বাড়ি যেতে তাঁর বড্ড অনীহা তার। ধনী কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। অঢেল সম্পত্তি, বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন, চাষবাস দেখাশোনা করার লোকের বড্ড অভাব। মা হানা নিউটন তা-ই চেয়েছিলেন, লেখাপড়া না করে চাষবাসে মন দিক ছেলে। কিন্তু নিউটন আর দশটা ধনী চাষার ছেলের মতো বড় হতে চাননি, লেখাপড়াকে চাকরির হাতিয়ার হিসেবে না দেখে জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর, মেধার প্রতি সুবিচার করার শ্রেষ্ঠ উপায় ভেবেছিলেন।

 

কিন্তু বাঁধ সাধেন মা ও মামা। তাঁদের কথা যেহেতু শুনবেন না নিউটন, তাই লেখাপড়ার খরচ জোগাতেও নারাজ তাঁরা। নিউটনকে মাসে সামান্য কিছু টাকা পাঠানো হত। সেই টাকায় তাঁর চলত না, চলার কথাও নয়।

 

কেমব্রিজের মতো শহরে সামান্য টাকায়, লেখাপড়া আর নিজের থাকা-খাওয়ার খরচ চালিয়ে টিকে থাকা মুশকিল। এখনকার বাংলাদেশের মতো সেকালে কেমব্রিজে টিউশনি করে পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল না।

 

একটা কিছু তো করতে হবে! তাই নিউটনকে নিতে হয়েছিল সাবসাইজারের চাকরি। চাকরি বলাও ভুল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলোদের বাড়িতে চাকরের মতো খাটতে হত, এমনকী তাঁদের জুতো, মল-মূত্র পরিষ্কারের মতো কাজও করতে হত সাবসাইজারকে।

 

অথচ সেকালে নিউটনের মায়ের জমি ও চাষাবাদ থেকে আয় ছিল বছরে সাত শ পাউন্ডেরও বেশি। একালের মিলিয়নারদের সঙ্গে হানার আয়ের তুলনা করা যেতে পারে। অথচ ছেলের লেখাপড়ার খরচ হিসেবে পাঠাতেন বছরে মাত্র ১০ পাউন্ড!

 

সূত্র: The Life of Isaac Newton/ Richard S. Westfall

 

আরও খবর

Sponsered content