সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় দেওয়া সেই ছাত্র এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় দেওয়া সেই ছাত্র এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে

চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি.জে) উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় দেওয়া ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরিন এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে ওই ছাত্র।

 

এদিকে, এ ঘটনায় ওই ছাত্রের শাস্তির দাবি জানিয়ে আজও বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।

 

জানা গেছে, এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষার হলে বিশৃঙ্খলা ও অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীর খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক।

 

এতে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক হাফিজুরকে চড়-থাপ্পড় মারেন ওই ছাত্র। এ ঘটনায় শিক্ষকদের পক্ষে সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান।

 

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি.জে) উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে অবস্থান নিলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

মানববন্ধনে ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি.জে) উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের ঘটনা আর যেন চুয়াডাঙ্গায় না ঘটে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। সামািজিকভাবে আমরা এত নিচে নেমে গেছি, এটা থেকে উত্তরণ দরকার।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানছিল না। যে কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষক তার খাতাটি নিয়ে নেন এবং বসতে বলেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের ওপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মারে।

 

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক লিখিতভাবে বিচারের আবেদন করেছেন। তার আবেদন এবং সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সহকারে বিদ্যালয়ের সভাপতির পরামর্শে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্য পালনে বাধাপ্রদান, আক্রমণ, অপরাধমূলক বল প্রয়োগ এবং আঘাতসহ ভয়ভীতি প্রদানের অপরাধে ৩৩২, ৩৫৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

 

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু তালেব বলেন, আদালতে হাজির হয়ে ওই শিশু জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শিশু সংশোধনাগারে (যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র) পাঠিয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content