রাজনীতি

দেশের ভবিষ্যৎ আগামী কয়েক দিনের ওপর নির্ভর করছে : মির্জা ফখরুল

দেশের ভবিষ্যৎ আগামী কয়েক দিনের ওপর নির্ভর করছে : মির্জা ফখরুল

দেশের ভবিষ্যৎ কি হবে তা আগামী কয়েকটা দিনের উপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগ নিজেরা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে এখন বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কোন প্রচেষ্টাতেই কাজ হবে না। বুধবার ২৭ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহ্’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

 

ফখরুল ব‌লেন, জেনারেল আ স ম হান্নান শাহর বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী,মানুষটি অত্যন্ত সফল। দেশ ও দেশের রাজনীতিকে ভালোবেসে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। নিজ নেতৃত্ব দিয়ে দল সংগঠিত করা এবং দুর্দিনে ঢাল হয়েছিলেন তি‌নি।

 

‌তি‌নি ব‌লেন, আজ দেশের অবস্থা ভয়াবহ। সমস্ত বাংলাদেশ বিপদগ্রস্ত হয়ে গেছে। বিএনপি নয়, জাতি বিপদগ্রস্ত। বিএনপি সংগঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী জবরদখলকারী এই সরকার। রাষ্ট্রের মূল আত্মা ধ্বংস করেছে। সবধরনের অধিকারই হরণ করা হয়েছে।সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে,তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়। কোথায় যাবো-না যাবো, কোন অনুষ্ঠানে যাবো, যাবো না সেসবও নিয়ন্ত্রণ করা হয় এখন।

 

যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে,তা দেশকে আরও বেশি ঋণগ্রস্ত করছে মন্তব্য ক‌রে বিএন‌পির এই মহাসচিব ব‌লেন, যে দেশগুলো মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তারা ভিসা নীতির আওতায় পড়ে। কেনো জাতিকে এই অবস্থায় পড়তে হবে।

 

এটা খুশির কথা না, লজ্জার। এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী সরকার। নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতায় থাকতে গোটা দেশ জাতিকে জিম্মি করে ফেলছে। মনে হয় তারা রাজা, আমরা সবাই প্রজা।

 

তি‌নি ব‌লেন,আওয়ামী লীগের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবতার লেশমাত্র নেই। দেশপ্রেম থাকলে দেশকে জিম্মি করতে পারেনা। বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্বেগজনক। দুই দেশকে মুখোমুখি করে দিয়েছে।

 

খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার মন্তব্য ক‌রে ফখরুল ব‌লেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকার মিথ্যা কথা বলছে এবং রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তাকে আটক রাখা হয়েছে।

 

তি‌নি আরও ব‌লেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনও নির্বাচনে এ দেশের মানুষ অংশ নিবেনা। তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, আমরাও যাবো না। তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে, এ জন্য অন্যদের দল ভাঙতে চায়, এগুলো করে লাভ হবে না। মানুষ‌কে দমিয়ে রাখতে পারবে না । বর্তমানে যে সংকট এই সংকট গোটা জাতীর, এ‌দের আওয়ামী লী‌গের হা‌তে দেশ কতটা নিরাপদ থাকবে? আগামী দিনের দেশ কেমন হবে তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক দিনের উপর। তাই সবাইকে রাজপথে বের হয়ে আসতে হবে।

 

রও বলেন, এই সরকারকে সরকার বলা যায় না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলাম শুধু ভুখণ্ড বা ম্যাপ পাওয়ার জন্য নয়, আমরা চেয়েছিলাম একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে আমার কথা বলার অধিকার, বিভিন্ন সংগঠন করার অধিকার থাকবে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল এক ছেলের সাথে কথা হলো, সে বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে কিন্তু পরিবার বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে চাকরি হয়নি। বিএপির পরিবারের সাথে নূন্যতম সম্পর্ক থাকলে তার চাকরি-প্রমোশন হয় না। প্রত্যেক মানুষ আজ অসহ্য হয়ে পড়ছে মিথ্যা মামলার জন্য। সরকারের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তো দেশকে জিম্মি করতে পারে না। এটা দেশের জন্য সুখকর নয়।

 

বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্রি.জে. (অব.) আ.স.ম. হান্নাস শাহর স্মরণে মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনী থেকে যে নেতা বের হয়ে আসেন তিনি যোগ্যতা দক্ষতা নিয়ে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের রাজনীতীকে ভালোবেসে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সবসময় তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।

আরও খবর

Sponsered content