বিনোদন

যে কারণে আটকে যেতে পারে শাকিবের ‘তুফান’!

নানা অভিযোগের তীর চিত্রনায়ক শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’ সিনেমার বিরুদ্ধে। সেন্সর বোর্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে টিজার প্রদর্শন করার অভিযোগে সিনেমাপাড়ার মানুষদের কাঠগড়ায় রায়হান রাফি পরিচালিত এই সিনেমাটি। এর আগেও এই নির্মাতা সেন্সর বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে একাধিকবার সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন।

 

সম্প্রতি তার মুক্তি প্রতীক্ষিত এই সিনেমাটিকে ঘিরে কেঁচো খুঁড়তে অজগরের মতো রায়হান রাফির অনেক নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সেন্সর বোর্ডের নজরে এসেছে। যার কারণে সিনেমাটির সেন্সর ছাড়পত্র নিয়ে নিয়ে বোর্ড কর্মকর্তারা নতুন করে ভাবছেন।

 

ঈদকে সামনে রেখে সম্প্রতি সিনেমাটি সেন্সরে জমা পড়েছে। মঙ্গলবার (০৪ জুন) এই সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শিত হবে বলে জানা গেছে। নানা অভিযোগ থাকায় এদিন বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে সিনেমাটি দেখা হবে বলে সেন্সর বোর্ডের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

 

সূত্রের খবর, বিগ বাজেটের এই সিনেমাটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সামনে রেখেই সিনেমাটি দেখা হবে। এরপর বোর্ডের সব সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিনেমাটি ছাড়পত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেওয়া হতে পারে কাটিং!

 

দেশসেরা নায়ক শাকিব খানের সিনেমাটি দর্শকদের আগ্রহ থাকলেও টিজার এবং গান প্রকাশের পর শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। উঠে নকলের অভিযোগও। মুক্তির আগেই নকলের দুর্নাম কুড়ায় এই সিনেমাটি। এ নিয়ে সমালোচনায় উত্তাল নেটিজেনরা।

 

এরই মধ্যে, সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেছে আইন ভঙের অভিযোগ। সেন্সর ছাড়পত্রবিহীন টিজার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। সেন্সর বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই নারায়ণগঞ্জের ‘গুলশান’ সিনেমাহলে গত ১০ মে দুপুর ১২টার শোতে দেখানো হয় ‘তুফান’ সিনেমার টিজার।

 

সূত্রটি বলছে, আইন ভঙের এই অভিযোগটি বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে সেন্সর বোর্ড। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসছে কোরবানির ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমাটি। শেষ পর্যন্ত কাটিং নিয়ে সিনেমাটি মুক্তি পায় কিনা তা নিয়ে সিনেমাপাড়ায় সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল।

 

প্রসঙ্গত, একজন গ্যাংস্টারের গল্পে তৈরি হয়েছে ‘তুফান’। যেখানে উঠে আসবে নব্বই দশকের চিত্র। সে সময়ের এক নামকরা গ্যাংস্টারের কাহিনি নিয়েই এগিয়েছে সিনেমাটির গল্প।

 

এতে শাকিব খানের বিপরীতে রয়েছেন ঢাকার মাসুমা রহমান নাবিলা ও কলকাতার মিমি চক্রবর্তী। বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে চরকি, আলফা আই ও ভারতের এসভিএফ।

 

আরও খবর

Sponsered content