সারাদেশ

চায়ের দোকানে কাজ করা সাকিব পেল জিপিএ ৫

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া বাজারে নজরুল ইসলামের চায়ের দোকান। সংসারের অন্য কাজ থাকায় সবসময় দোকান চালাতে পারতেন না তিনি। সে সময় তাঁর ছেলে সাকিব খান দোকানে থাকত। চা বিক্রির পাশাপাশি সে পড়াশোনা চালিয়ে যেত। আর এভাবে পড়াশোনা করে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে সাকিব। তার সাফল্যে খুশি মা-বাবা ও এলাকাবাসী।

 

সাটুরিয়া বাজারেই সাকিবদের বাড়ি। সে সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল। পিইসি ও জেএসসিতেও সে জিপিএ ৫ পেয়েছে। উচ্চ শিক্ষা শেষে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন তার।

 

জানা গেছে, চায়ের দোকানের আয় দিয়ে নজরুল ইসলামের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সাকিব খান বিজ্ঞান বিভাগ বেছে নেয়। এতে কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে হয়। কিনতে হয় অনেক বই। ছেলের লেখাপড়ার খরচ বহনের সাধ্য ছিল না নজরুলের।

 

খবর পেয়ে তার পাশে দাঁড়ান সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তা রহমান। তিনি সাকিবকে প্রয়োজনীয় সব বই কিনে দেন। এ ছাড়া তার নিয়মিত খোঁজখবরও রাখেন।

 

গত রোববার ছেলের এসএসসির ফল শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি চা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ছেলে কঠোর পরিশ্রম করে ভালো ফল করেছে। তার এই সাফল্যে আমি খুব খুশি। আমাদের পাশে থাকায় ইউএনও স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নের কথা জানিয়ে সাকিব খান বলে, উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব। সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও সাকিব খানের মনোবল ছিল দৃঢ়। তার সাফল্যে আমরা গর্বিত।

 

ইউএনও শান্তা রহমান বলেন, অদম্য মনোবল আর ইচ্ছাশক্তির কারণে সাকিব সাফল্য পেয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content