সারাদেশ

বাসায় ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাসায় ঢুকে কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডাকাত দলের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রপ্তারকৃতরা হলো, মো. আব্দুল্লাহ, চাঁন মিয়া, আয়নাল ও মো. মতিন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগীর মোবাইলসহ একটি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান, একটি শাবল, একটি দা, দুটি রামদা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই গণধর্ষণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

 

আজ সোমবার কারওয়ান বাজার কার্যলয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যমে শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ১৫ মে রাত আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

 

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গণধর্ষণের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

 

বর্ণিত গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে র‌্যাব। তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১১-এর একটি দল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত চক্রের সদস্য। এ চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ।

 

এই চক্রে ১০/১২ জন সদস্য রয়েছে। আব্দুল্লাহ এর নেতৃত্বে তারা ১/২ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা গত ১৫ মে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই কিশোরীর বাড়িতে যায়। সে সময় জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় ভুক্তভোগী ও তার মায়ের ঘুম ভেঙ্গে গেলে তারা ভয়ে চিৎকার করেন।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘরের দরজা খুলে দিতে বাধ্য হয়। এ সময় চাঁন মিয়া ও আয়নালসহ অন্যারা দেশিয় অস্ত্রসহ ঘরে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীর মাসহ ঘরে উপস্থিত সকলের হাত, পা ও মুখ বেধে ফেলে।

 

পরে ঘরের ভিতর মূল্যবান জিনিসপত্র না পেয়ে ক্ষোভে তারা হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় কিশোরীকে তাদের বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখ ওড়না দিয়ে পেচিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

 

যাওয়ার সময় তারা এই ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানালে তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনায় মামলা দায়ের করলে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।

 

আরও খবর

Sponsered content