বিনোদন

যে দুই কারণে ভ্লগিং ছেড়ে দিলো জনপ্রিয় ইউটিউবার শিরাজ

আপাতত ভ্লগিং ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ‘সেনসেশন’ পাকিস্তানের সর্বকনিষ্ঠ ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর মোহাম্মদ শিরাজ। মাত্র ১২ বছরের শিরাজ তার ছোট বোন মুসকানকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দৈনন্দিন গ্রামের ভ্লগ তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করে।

 

তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে নিজের শেষ ভিডিও আপলোড করেন শিরাজ। ভিডিওটির মাধ্যমে সবাইকে বিদায় জানিয়েছেন পাকিস্তানের এই ক্ষুদে তারকা।

 

‘শিরাজি ভিলেজ ভ্লগ’ চ্যানেলটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০টি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি। ইতোমধ্যে ইউটিউব থেকে স্বীকৃতি হিসেবে সিলভার প্লে ও গোল্ড প্লে বাটন পেয়েছেন শিরাজ। জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলো শিরাজ। নীরবতা ভেঙ্গে এবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন তার বাবা।

 

সম্প্রতি একটি ভ্লগের মাধ্যমে শিরাজের বাবা ব্যাখ্যা করেছেন, যে তার ছেলের ভ্লগিং ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পিছে রয়েছে দুটি প্রধান কারণ। প্রথমত, শিরাজের এ খ্যাতি তার ব্যক্তিত্বকে বদলে দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন। জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে সে আর আগের মতো বাধ্য এবং কমনীয় ছেলে ছিল না। সূত্র: স্যামা টিভি

 

তার বাবা লক্ষ্য করেছেন যে শিরাজ আগের মতো একই মনোভাব নিয়ে তার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা করছেন না। তিনি মনে করেন এটি সামাজিক মিডিয়া তারকা হওয়ার একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

 

দ্বিতীয়ত, প্রতিদিনের ভ্লগিংয়ের কারণে শিরাজের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। টুইটার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা এবং ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতে যেয়ে তার শিক্ষার উপর প্রভাব পরছিলো।

 

ভ্লগে তার বাবা শিরাজের ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যে তারা তাদের পরিবারের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং সম্মান দেখিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগ দেওয়ার পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, তাদের দূরবর্তী গ্রামের দরিদ্র লোকদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা, যার জন্য অনেক সুবিধার প্রয়োজন রয়েছে।

 

যদিও ভক্তরা এখনও শিরাজকে ভ্লগিং চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। অনেকে আবার তার বাবার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেছেন, শিরাজের জন্য তার পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন বজায় রাখা অপরিহার্য। কিছু ভক্ত শিরাজের বাবাকে তার দায়িত্বশীল অভিভাবকত্বের জন্য প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি তার শিকড় ভুলে যাননি।

 

এই খবরটি শিশুদের জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব সম্পর্কে একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন যে, পিতামাতার জন্য তাদের সন্তানদের অনলাইন কার্যকলাপের উপর নজর রাখা এবং তাদের অনলাইন এবং অফলাইন জীবনের মধ্যে একটি সুস্থ ভারসাম্য বজায় রাখা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।