সারাদেশ

প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি অফিসের সহকারী, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি অফিসের সহকারী, ভিডিও ভাইরাল

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী আব্দুল কাদির মিয়া অফিসে বসে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, ঐ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আক্তার হোসেন বয়াতির ছেলে মুক্তার হোসেন ভোলার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা গুনে নিয়ে পকেটে রাখেন ভূমি অফিসের সহকারী আব্দুল কাদির মিয়া।

 

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে আব্দুল কাদিরকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়। তবে আজ শনিবার পর্যন্ত তিনি শোকজের জবাব দেননি।

এদিকে, এলাকাবাসী ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, অফিস সহকারী আব্দুল কাদির অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা, সেবা নিতে আসা লোকদের সঙ্গে কথাও বলেন না।

ভিডিওর সাউন্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জমি খারিজের কথা বলে অফিস সহকারী আব্দুল কাদির মিয়া সেবাগ্রহীতা মুক্তার হোসেন ভোলার কাছে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন।

ভোলা ৫ হাজার টাকা দিলে তা গুনে গুনে পকেটে রাখতে রাখতে আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, পরে আরও ১ হাজার টাকা দিতে হবে।

অফিস সহকারী আব্দুল কাদির মিয়াকে বলতে শোনা যায়, একটা কাজ করে ভাগে যদি ৫০০ টাকা না থাকে তাহলে চলবে কী করে।

গত ১৬ মার্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেন একজন। ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেন ‘মাইজখাপন ভূমি অফিসের সহকারী আব্দুল কাদিরের প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ’। তবে, কয়েক ঘণ্টা পর পোস্টকারী তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি মুছে দেন।

কিন্তু এই কয়েক ঘণ্টায় ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী। এতে করে নজরে আসে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম জানান, আব্দুল কাদিরের বিষয়ে তদন্ত করে রোববারের (৩১ মার্চ) মধ্যে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মীর আব্দুল হাতিমকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। শোকজের জবাব এবং তদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ধরনের অন্যায় হতে দেওয়া হবে না।