সারাদেশ

এবার দেশাত্মবোধক গানে পুতুলের নাচ

এবার দেশাত্মবোধক গানে পুতুলের নাচ

দেশাত্মবোধক গানে পুতুলের নাচ করল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন ও গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে তারা এ নান্দনিক পরিবেশন করে। শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ডিসপ্লে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেখানে সূর্যমূখী কিন্ডারগার্টেন ও গার্লস স্কুলের ৪৯ শিশুশিল্পী প্রায় ৪ মিনিট পুতুলের আদলে মনোমুগ্ধকর নাচটি প্রদর্শন করে।

 

হারিয়ে যেতে বসা পুতুলনাচের ঐতিহ্য নবরূপে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরায় নাচটি সবাই প্রশংসা করেন।

এই লোকসংস্কৃতি দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলায় খুশি অংশ নেওয়া শিশুশিল্পীরাও।

তারা জানায়, মাত্র তিন দিনের প্রস্তুতি নিয়ে নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন ও গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আল সাইফুল আমিন জিয়া।

শিশুশিল্পী মুনতাহা জানায়, সে আগে কখনও পুতুলনাচ দেখেনি। ডিসপ্লের জন্য বেশ কয়েকবার দেখেছে।

এর পর প্রশিক্ষক তাদের তৈরি করেছেন। এ নাচে অংশ নিতে পেরে সে বেশ খুশি।
আরেক শিক্ষার্থী নাফসুন জানায়, এর আগে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তারা লোকসংগীতে পুতুলনাচের আদলে নেচেছিল।

এবার স্বাধীনতা দিবসে দেশাত্মবোধক গানে পুতুলের আদলে নেচে অনেক ভালো লেগেছে।
নাচের পরিকল্পনাকারী ও প্রশিক্ষক মোহাম্মদ আল সাইফুল আমিন জিয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুতুলনাচের ঐতিহ্য ফেরাতেই তাদের এ প্রচেষ্টা। এ যাত্রায় তিনি অনেকটা সফল।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘পুতুলনাচ আমাদের ঐতিহ্য। আমরা চাই শিশুরা ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকুক।এ ধরনের আয়োজন সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা থাকবে।

ডিসপ্লেতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এ নাচ। শিক্ষার্থীসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ
হাবিবুর রহমান।

আরও খবর

Sponsered content