12 March 2024 , 2:22:33 প্রিন্ট সংস্করণ
ভিক্ষা করেই মাসে আয় করছেন ৬০ থেকে ৭৫ হাজার রুপি। মুম্বাইয়ের মতো জায়গায় কিনেছেন ফ্ল্যাট। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ সাড়ে ৭ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। বলছি, ভারত জৈনের কথা। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক মনে করা হয় তাঁকে।
৫৪ বছর বয়সী এই ভিক্ষুক বাস করেন ভারতের মুম্বাইয়ে। চার দশকের বেশি সময় ধরে ভিক্ষা করছেন তিনি।
মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস রেলওয়ে স্টেশন কিংবা আজাদ ময়দানের মতো স্থানে ভিক্ষা করেন ভারত।
প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ভিক্ষা করে তাঁর রোজগার হয় দুই থেকে আড়াই হাজার রুপি। ছুটির দিনেও ভিক্ষা করেন তিনি।
ভারতের সম্পদের মধ্যে আছে দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটও। ফ্ল্যাটটিতে তাঁর সঙ্গে থাকেন বাবা, ভাই, স্ত্রী ও দুই ছেলে।
ছেলেদের একটি ভালো স্কুলে পড়িয়েছেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা একটি স্টেশনারি দোকান চালান।
এছাড়া দুটি দোকানের মালিক ভারত। দোকানভাড়া থেকে তাঁর মাসিক আয় ৩০ হাজার রুপি।
এত এত সম্পদের কারণেই ভারতকে বলা হয় ‘বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক’। তবে তাঁর পরিবারের এই পেশা পছন্দ না।
এমন অসম্মানের কাজ তাঁরা ছেড়ে দিতে বলেছেন বহুবার। কিন্তু ভারতের ভাষ্য, তিনি অভাবের জন্য ভিক্ষা করেন না বরং পেশা হিসেবে উপভোগ করেন।
তাই ভিক্ষা চালিয়ে যেতে চান। নিজেকে নিয়ে তিনি রীতিমতো গর্বিত।
ভারতে আরও কয়েকজন ‘ধনী ভিক্ষুক’ আছেন। দেশটিতে সাম্ভাজি কালে নামের এক ভিক্ষুকের মোট সম্পদ দেড় কোটি রুপি আর লক্ষ্মী দাস নামের আরেক ভিক্ষুকের সম্পদ এক কোটি রুপি।
ভারতে ভিক্ষাবৃত্তি অবৈধ। দেশটির সরকার ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কখনো জরিমানা করা হয়, কখনো আবার করা হয় গ্রেপ্তারও।
এছাড়া পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এত কিছুর পরও ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেন অনেক মানুষ। কষ্ট করে রোজগার করার চেয়ে ভিক্ষা করতেই বেশি পছন্দ অনেকের।