সারাদেশ

জাপান প্রবাসী বরকে আনতে হেলিকপ্টার পাঠালেন শ্বশুর

জাপান প্রবাসী বরকে আনতে হেলিকপ্টার পাঠালেন শ্বশুর

মাদারীপুরের শিবচরে মেয়ের বরকে আনতে হেলিকপ্টার পাঠালেন ইতালি প্রবাসী শ্বশুর। বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে বাড়ি নিয়ে যান জাপান প্রবাসী ওই যুবক এ বিয়েকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।জানা যায়, উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের সানকিরচর গ্রামের ইতালির প্রবাসী নাজিমউদ্দিন নাদিম বেপারী দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে বসবাস করেন।

 

তিনি ইতালির নাপোলি আওয়ামী লীগের সভাপতি। একমাত্র মেয়ে সাইদ শিরিনসহ পরিবারের সদস্যরাও প্রায় ২৪ বছর ধরে ইতালিতেই থাকেন। একই ইউনিয়নের বাঁশকান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী দেলোয়ার মুন্সির ছেলে জাপান প্রবাসী নুরুজ্জামান মুন্সির সঙ্গে মেয়ে সাইদ শিরিনের বিয়ে ঠিক করেন নাজিমউদ্দিন। বর নুরুজ্জামান মুন্সি প্রায় ৪ বছর ধরে জাপানে রয়েছেন। উভয় পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার নুরুজ্জামান ও সাইদ শিরিনের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়।

 

ইতালি প্রবাসী নাজিমউদ্দিন বেপারীর স্বপ্ন আদরের মেয়ের বরকে হেলিকপ্টারে করে নিজ বাড়িতে আনবেন ও মেয়েকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবেন। তাই শুক্রবার সকালে মেয়ের বরকে আনতে হেলিকপ্টার ভাড়া করে বরের বাড়িতে পাঠান নাজিমউদ্দিন নাদিম।

 

হেলিকপ্টার বরকে নিয়ে দুপুরে নাজিমউদ্দিন নাদিম বেপারীর বাড়িতে আসেন। সেখানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর নুরুজ্জামান মুন্সি নববধূ সাইদ শিরিনকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এ সময় বিয়ের নিমন্ত্রণে আসা অতিথিসহ শতশত মানুষ ভিড় জমায় নাজিমউদ্দিন নাদিম বেপারীর বাড়িতে। প্রায় ৫ হাজার মানুষের ভোজের আয়োজন ছিল বিয়েতে। ছিল হরেকরকমের খাবার।

 

স্থানীয় রফিক বেপারী বলেন, আমাদের এলাকার মেয়ের বিয়েতে বর হেলিকপ্টারে চড়ে আসায় আমরা খুব খুশি। অনেকেই কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখতে এসেছে।

 

অতিথি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি আমার বন্ধুর মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছি। বিয়ে হচ্ছে আনন্দের বিষয়। বরপক্ষ হেলিকপ্টারে চড়ে আসবে কনে হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে এটা একটা অন্যরকম আনন্দ।

 

বর নুরুজ্জামান মুন্সি বলেন, অবশ্যই আজকে খুব আনন্দের একটি দিন। আর আমার এই শিবচর উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে একটি স্মার্ট উপজেলা। এমন আয়োজনের মাধ্যমেই এই স্মার্ট উপজেলার আবারো বহিঃপ্রকাশ ঘটলো বলে মনে করি।

 

কনের বাবা নাজিমউদ্দিন নাদিম বেপারী বলেন, আমার মেয়ের জন্মের পরই আমি মনে মনে ইচ্ছে করেছিলাম আমার মেয়ের বিয়েতে আমি জামাইকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি আনবো এবং মেয়েকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি খুব খুশি। এলাকার সকল মানুষকে নিয়ে আজ এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

 

আরও খবর

Sponsered content