জাতীয়

বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে যা বলল আমেরিকা

বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে যা বলল আমেরিকা

বাংলাদেশে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যেন দুর্নীতির বিষয়ে দেশের আইন এবং আর্থিক বিধিবিধানগুলো মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই আহ্বান জানান।

 

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান- ব্লুমবার্গে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট বলা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্ত্রিপরিষদের সাবেক অন্যতম সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী বৃটেনে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

 

এই সম্পদের মূল্য ২০ কোটি পাউন্ড, যা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের শতকরা এক ভাগের সমত্যুল। অনেক ঘটনার মধ্যে এটি হলো মাত্র একটি ঘটনা। বিশ্বব্যাপী সরকারের জবাবদিহিতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র?

 

এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এসব রিপোর্টের বিষয়ে আমরা অবহিত। নির্বাচিত সব প্রতিনিধি যেন দেশের আইন ও আর্থিক বিধিবিধান মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি।

 

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

 

রিপোর্টে বলা হয়, লন্ডনের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় একটি প্রপার্টি ২০২২ সালে ১১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক ও লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে একদমই কাছে অবস্থিত ওই প্রোপার্টিটি বৃটেনের রাজধানী লন্ডনের সবথেকে ধনী এলাকায় অবস্থিত। এই প্রপার্টির মালিক বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বর্তমানে ওই প্রোপার্টির দাম ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি।

 

বাংলাদেশের মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুযায়ী, কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি দেশের বাইরে পাঠাতে পারেন না। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ ও অনুমোদন ছাড়া কোনো করপোরেশনও বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে না।

 

আরও খবর

Sponsered content